উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্ক: মালদার পাকুয়াহাটে দুই মহিলাকে বিবস্ত্র করে মারধরের ঘটনায় রিপোর্ট তলব করল জাতীয় মানবাধিকার কমিশন (এনএইচআরসি)। আগামী দু’সপ্তাহের মধ্যে জেলা পুলিশ সুপারকে রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে এনএইচআরসি। মুখ্যসচিব ও ডিজিপিকেও বিষয়টি লিখিতভাবে জানিয়েছে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন।
সম্প্রতি মালদার পাকুয়াহাটে লেবু বিক্রি করতে যান দুই মহিলা। সেই সময় বেশ কয়েকজন তাঁদের চোর সন্দেহে মারধর করে বলে অভিযোগ। যারা মারধর করে, তাদের মধ্যে অনেক মহিলাও ছিল। অভিযোগ, ওই দুই মহিলাকে জুতোপেটাও করা হয়। মারধরের সময় ওই দুই মহিলার শরীর থেকে পোশাক খুলে যায়। তারপরেও মারধর চালিয়ে যাওয়া হয়। ঘটনার একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ইতিমধ্যেই ভাইরাল হয়েছে। যদিও সেই ভিডিওর সত্যতা যাচাই করেনি উত্তরবঙ্গ সংবাদ। এমনকি, এই ঘটনায় প্রথমে পুলিশ দুই নির্যাতিতাকে গ্রেপ্তার করে। সপ্তাহ পর জেল থেকে জামিনে ছাড়া পান দুই নির্যাতিতা।
ঘটনাটি নিয়ে শুরু হয় রাজনৈতিক তর্জা। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তীব্র সমালোচনা করেন বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতা অমিত মালব্য। একই সুর শোনা যায় কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুরের গলাতেও। ঘটনায় সরব হন সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তীও। পালটা তৃণমূল কংগ্রেসের নেত্রী তথা রাজ্যের মন্ত্রী শশী পাঁজা বলেন, ‘মহিলারা আইন হাতে তুলে নিয়েছে। এটা ঠিক নয়, মামলা দায়ের করেছে পুলিশ, তদন্তও শুরু হয়েছে।’