অনলাইন ডেস্ক: আবারও আলোচনায় বসতে চলেছে ভারত ও চিন।
আগামীকাল মঙ্গলবার কমান্ডার পর্যায়ের বৈঠকে বসতে চলছে ভারত ও চিন। লাদাখের চুশুলে সকাল ১০টা ৩০-এ বৈঠক হওয়ার কথা। জুন মাসে এই নিয়ে তৃতীয়বার কমান্ডার পর্যায়ের বৈঠকে বসতে চলছে দুদেশ।
Third round of Corps Commander-level talks scheduled tomorrow at 10:30 am in Chushul in Ladakh. The first two rounds had taken place in Moldo on Chinese side of the Line of Actual Control: Government Sources pic.twitter.com/Jl6yiRdtfC
— ANI (@ANI) June 29, 2020
আগের দুটি বৈঠক চিনের দিকের মোল্ডোতে হলেও এবার ভারতের এলাকায় বৈঠক হচ্ছে। ৬ জুন ও ২২ জুন আগের দুটি বৈঠক হয়। কাল ভারতীয় প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেবেন লেঃ জেনারেল হরিন্দর সিং।
প্রসঙ্গত, সীমান্তের বিবাদ মেটাতে এখন থেকে সাপ্তাহিক বৈঠকের পথে হাঁটতে চলেছে দু’দেশ। সূত্রের খবর, সীমান্তের বিবাদ মেটাতে অসামরিক এবং কূটনৈতিক স্তরে আলোচনা চালিয়ে যেতে চায় ভারত ও চিন দুই দেশই।
এখন থেকে দুই দেশের মধ্যে আয়োজিত ‘ওয়ার্কিং মেকানিজম ফর কনসালটেশন অ্যান্ড কোঅর্ডিনেশন’ (WMCC) সাপ্তাহিক বৈঠকে নিয়মিত আলোচনা হবে সীমান্ত ইশ্যু নিয়ে। চিনের সঙ্গে এই আলোচনা সীমান্তে উত্তেজনা কমাতে সাহায্য করবে বলে আশাবাদী ভারত।
সীমান্তে উত্তেজনার শুরুটা হয়েছে গত ১৫ জুন। গালওয়ান উপত্যকার আধিপত্য নিয়ে ভারত-চিন সংঘর্ষে ভারতে ২০ জন সেনাকর্মী শহিদ হয়েছেন। চিনেরও ৪৩ জন সেনার হতাহতের খবর মিলেছে। যদিও চিন এই বিষয়ে প্রথমে কিছু স্বীকার করেনি। তবে একজন চীনা কমান্ডিং অফিসার মৃত্যু হয়েছে বলে কিছুদিন আগে মেনে নিয়েছে চিন।
এরপরও ক্রমশ উত্তপ্ত হয়েছে পরিস্থিতি। বিবাদ মেটাতে দু’দেশের মেজর-জেনারেল স্তরে বৈঠকও হয়েছে বেশ কয়েকবার। কিন্তু তাতেও কোনও সুরাহা হয়নি। দু’দেশের বিদেশমন্ত্রী আলোচনায়ও কোনও রফাসূত্র মেলেনি। দু’দেশের মধ্যে শান্তি স্থাপনের জন্য বেশ কয়েকবার উদ্যোগও নেওয়া হয়েছে।
এমনকি সেনা প্রত্যাহারের নাটকও করেছে চিনের পিপলস লিবারেশন আর্মি (PLA)। কিন্তু বাস্তবে তাতে কোনও লাভ হয়নি। চিন যখনই সুযোগ পাচ্ছে ভারতীয় ভূখণ্ডে প্রবেশের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
গত সপ্তাহেও দু’দেশের বৈঠকে চিন ১৯৫৯ এবং ১৯৬০ সালের সীমান্তের মানচিত্র এনে দাবি করেছে, সেই মানচিত্র অনুযায়ী ভারত ও চিনের সীমান্ত নির্ধারিত হওয়া উচিত। যদিও সেই দাবি খারিজ করেছে ভারত। এখনও পর্যন্ত আলোচনায় কোনও রফাসূত্র না মিললেও, আলোচনার মাধ্যমেই সমাধান সম্ভব বলে মনে করছে দু’দেশই।