নেরোকা – ১ (মেন্ডি)
মহমেডান – ১ (জোসেফ)
কলকাতা : আই লিগে ফের ধাক্কা মহমেডান স্পোর্টিংয়ের। একগুচ্ছ সুযোগ নষ্টের খেসারত দিয়ে নেরোকার সঙ্গে ড্র করেই সন্তুষ্ট থাকতে হচ্ছে আন্দ্রে চেরনিশভের ছেলেদের। ফলে লিগের প্রথম পর্বে গোকুলাম কেরালাকে টপকাতে পারছে না সাদা-কালো শিবির।
সোমবার কল্যাণী স্টেডিয়ামে পিছিয়ে থেকেই শুরু করে মহমেডান। সের্জিও মেন্ডিগুটশিয়ার মতো লিগের অন্যতম সেরা ফরোয়ার্ডের সামনে ছিলেন না সাদা-কালো ডিফেন্সের স্তম্ভ শাহির শাহিন। রিয়াল কাশ্মীরের বিরুদ্ধে শেষ ম্যাচে চোট পেয়েছিলেন তিনি। দ্বিতীয় পর্বের কথা মাথায় রেখে তাঁকে খেলানোর ঝুঁকি নেননি কোচ চেরনিশভ। ছিলেন না আগের ম্যাচে চোট পাওয়া আরেক গুরুত্বপূর্ণ সদস্য মিলন সিং। তাঁদের বদলি হিসেবে শুরু থেকে খেললেন আশির আখতার ও সুশীল মিতেই।
তিন ম্যাচের গোলখরা কাটিয়ে এদিন ২ মিনিটের মধ্যেই মহমেডানকে এগিয়ে দিয়েছিলেম মার্কাস জোসেফ। বক্সের ডানদিক থেকে ব্রেন্ডন ভনলালরেমডিকার ভাসানো ক্রসে অনেকটা নীচু হয়ে হেড দেন তিনি। নেরোকা গোলরক্ষক প্রতীক কুমার সঠিক সময়ে ঠেকাতে পারেননি সেই বল। অবশ্য মিনিট দশেক পর মহমেডান গোল খেল সেই গোলরক্ষকের ভুলেই। সুইডেন ফার্নান্ডেজের একটা নিরিহ শট ঠিকভাবে ঠেকাতে পারেননি মিঠুন সামন্ত। তাঁর হাত থেকে ছিটকে যাওয়া বল গোলে ঠেলতে ভুল করেননি মেন্ডি।
এরপর বাকি সময়টা জুড়ে চলল সুযোগ নষ্টের প্রদর্শনী। কখনও মার্কাসের হেড একটুর জন্য বাইরে যায়, কখনও তিনকাঠিতে বল রাখতে ব্যর্থ হন ব্রেন্ডন। এছাড়া বার দুয়েক পোস্টে আটকে যায় মহমেডানের গোলের চেষ্টা। তবে এদিন ভাগ্যের সহায়তাও পেয়েছে সাদা-কালো শিবির। শাহিনের অনুপস্থিতিতে ডিফেন্সকে নেতৃত্ব দেওয়ার ভার ছিল আশিরের ওপর। অথচ তাঁর ভুলেই সুযোগ পেয়ে গিয়েছিল নেরোকা। মেন্ডি তাড়াহুড়ো করায় সেযাত্রা রক্ষা পায় দল। আবার খেলার শেষবেলায় বারপোস্ট রক্ষা করে মহমেডানের পতন। প্রথমার্ধের শেষদিকে নিশ্চিত গোল ঠেকান সাইডব্যাক মনোজ মহম্মদও।
১২ ম্যাচে ২৬ পয়েন্ট নিয়ে প্রথম পর্ব শেষ করল মহমেডান। না জিতলেও ছেলেদের খেলায় খুশি কোচ চেরনিশভ। জানালেন, প্রতিপক্ষ দারুণ লড়াই করেছে। মনোজ-আশিররা সফলভাবে তার জবাব দিয়েছেন। তবে এদিনের মাঠ নিয়ে অসন্তুষ্ট মহমেডান শিবির। কল্যাণীর মাঠের অসমান বাউন্সের জন্য ফুটবলাররা সমস্যায় পড়েছেন বলে জানিয়েছেন এক কর্তা।
আরও পড়ুন: রিয়াল মাদ্রিদের প্রত্যাবর্তনের দিনে রেফারিং বিতর্ক