ডিজিটাল ডেস্ক : মার্শাল আর্ট বলতেই যার নাম সারা বিশ্বের সামনে উঠে আসে তিনি হলেন ব্রুস লি। পর্দায় অভিনয়ের মাধ্যমে ব্রুস লি(Bruce Lee) তাঁর মার্শাল আর্টকে সারা পৃথিবীর সামনে তুলে ধরেছিলেন। ১৯৭৩ সালের মাত্র ৩২ বছর বয়সের মৃত্যু হয় এই অসাধারণ শিল্পীর। বর্তমানে বিজ্ঞানীরা নতুন করে ব্রুস লির মৃত্যুর কারণ নিয়ে গবেষণা শুরু করেছেন। এবং সেই গবেষণার ভিত্তিতে বিজ্ঞানীরা দাবি করেছেন, মার্শাল আর্ট কিংবদন্তি এবং অভিনেতা ব্রুস লি অত্যন্ত বেশি জল খেতেন। যার ফলে তাঁর মাথায় সেরিব্রাল এডিমা হয় এবং সেখান থেকেই তিনি মারা যান।
পাশাপাশি চিকিৎসকরা মনে করেন, অতিরিক্ত মাত্রায় ব্যথানাশক ওষুধ খাওয়ার কারণেও মস্তিষ্ক ফুলে যায় ব্রুস লির। একদল গবেষক জানাচ্ছেন, ব্রুস লির মারা যাওয়ার অন্যতম কারণ হাইপোনেট্রেনিয়া। এই রোগটি অত্যধিক জল খাওয়ার ফলে শরীরে সোডিয়ামের মাত্রা হ্রাস পেলে হয়। এর ফলে শরীরের কোষগুলি, বিশেষ করে মস্তিষ্কের কোষগুলি ভারসাম্যহীন হয়ে পড়ে এবং ফুলে যায়। হাইপোনেট্রেনিয়ার জন্য ব্রুস লির শরীরে আরো নানা ঝুঁকির কারণ থেকে গিয়েছিল। বিজ্ঞানীদের মতে, ব্রুসলির কিডনি একটা সময় কর্মহীন হয়ে পড়ে।
যার ফলে কিডনি ফেলিওর অবধারিত হয়ে পড়ে। ব্রুস লির স্ত্রী লিন্ডা লি ক্যাডওয়েল একবার জানিয়েছিলেন ব্রুস লির গাজর এবং আপেলের রস খাওয়ার কথা। ২০১৮ সালে ব্রুস লির জীবন নিয়ে যে বই প্রকাশ করেছিলেন ম্যাথিও পলি, সেখানেও তিনি প্রতিদিনের জল খাওয়ার কথা উল্লেখ করেছেন। আশ্চর্যজনকভাবে ব্রুস লির একটি বিখ্যাত উদ্ধৃতি হল- ‘জল আমার বন্ধু’। কিন্তু অতিরিক্ত জল শেষ পর্যন্ত ব্রুস লিকেই হত্যা করেছে বলে মনে করছেন গবেষকরা। সুতরাং প্রতিদিন নিয়ম মেনে জল খাওয়া অবশ্যই ভালো। কিন্তু অতিরিক্ত জল যদি নিয়মিত পান করা হয় তাহলে আমাদের শরীর কিন্তু বিদ্রোহ করে উঠবে।