নাগরাকাটা: মাঠে বসে একে অপরকে পড়াশোনায় সাহায্য করছে বিভিন্ন শ্রেণির ছাত্র-ছাত্রী। আবার থাকছে অল্পস্বল্প খুনসুটি ও নির্ভেজাল আড্ডা। রোজ বিকেল হলেই নাগরাকাটা হাইস্কুলের ছাত্র-ছাত্রীদের ঠিকানা নিজেদের পাড়া-মহল্লার খোলা স্থান। সেখানেই ছোট দলে ভাগ হয়ে চলছে একে ওপরের সঙ্গে মতের আদান প্রদান। স্কুলের উদ্যোগে সম্প্রতি কর্মসূচিটি শুরু হয়েছে। যার পোশাকি নাম ‘বিকলের বৈঠক’। পড়ুয়াদের মোবাইল আসক্তি থেকে বের করে আনতে এমন অভিনব পরিকল্পনায় সাড়াও পড়েছে প্রচুর।
স্কুলের প্রধান শিক্ষক পিনাকী সরকার বলেন, ‘ছোট ক্লাসগুলি এখনও খুলে দেওয়া হয়নি। অনলাইনের পড়াশোনাই একমাত্র ভরসা। এতে অনেকেরই তীব্র মোবাইল আসক্তি গড়ে ওঠে। তা কাটানোর জন্যই করোনাবিধি মেনে এমন মেলামেশার সুযোগ করে দেওয়া হয়েছে।‘ এই উদ্যোদের ভূয়সী প্রশংসা করছে ডুয়ার্সের শিক্ষা-সংস্কৃতি মহল।
স্কুল সূত্রে জানা গিয়েছে, মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের জন্য উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন স্কুলের শিক্ষক শিক্ষিকাদের নিয়ে চালু করা হয় ‘মিশন মাধ্যমিক’ নামে একটি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ। এভাবে চলতে থাকলেও ঘরবন্দী পড়ুয়াদের মানসিক স্বাস্থ্যের দিকে নজর রেখেই ‘বিকেলের বৈঠক’ চালু করা হয়েছে। এতে এলাকার বিভিন্ন স্থানের ছাত্র ছাত্রীরা তাঁদের বাড়ির আশপাশের খোলা স্থান বেছে নিয়ে সেখানেই এক থেকে দু ঘণ্টা করে একসঙ্গে সময় কাটাচ্ছেন। বড়রা ছোটদের পড়াচ্ছে। আবার ছোটরাও নানা বিষয়ের ওপর তাঁদের ধ্যান ধারণার কথা বড়দের জানাচ্ছে।
নবম শ্রেণির শর্মিষ্ঠা বড়ুয়া বলেন, ‘কিভাবে যে সময় কেটে যাচ্ছে বুঝতেই পারছি না। খুব ভালো লাগছে। আমাদের এখানে ৫-৬ করে রোজ সামনের মাঠে বসছি।‘ মাদারিহাট গার্লস স্কুলের শিক্ষারত্ন পুরস্কার প্রাপক প্রধান শিক্ষিকা রুনা লায়লা খানম বলেন, ‘সমাজ ও পরিবেশের সঙ্গে ছাত্রছাত্রীদের মেলবন্ধন গড়ে তোলা অত্যন্ত জরুরী। সেই কাজটিই বিকেলের বৈঠকের মাধ্যমে হচ্ছে।
আরও পড়ুন : মোদি বনাম রাজ্যপাল প্রসঙ্গ তুলে বিজেপিকে হুঁশিয়ারি কুনালের