তুফানগঞ্জ: তুফানগঞ্জ নিয়ন্ত্রিত বাজারে ডাম্পিং গ্রাউন্ড না থাকায় বাজার চত্বরের নোংরা আবর্জনা স্তূপাকারের রূপ নিয়েছে। তুফানগঞ্জ ১ ব্লকের ধলপল ২ গ্রাম পঞ্চায়েতের কালীবাড়ি এলাকায় তুফানগঞ্জ ভাটিবাড়ি রাজ্য সড়কের ধারে ১৯৮৮ সালে ৩৬ একর জমির উপর গড়ে উঠেছিল এই নিয়ন্ত্রিত বাজার। তবে দীর্ঘদিনের এই আবর্জনার কারণে পরিবেশ দূষণের মাত্রা যেমন বাড়ছে, পাশাপাশি মাত্রাতিরিক্ত দূষণও ছড়াচ্ছে। ক্রেতা বিক্রেতাদের তরফে দাবি, বাজার চত্বরে একটি ডাম্পিং গ্রাউন্ড তৈরি করা হোক। তা নাহলে অন্যত্র নোংরা আবর্জনা ফেলার ব্যবস্থা করা হোক।
তুফানগঞ্জের যানজট কমাতে শহর থেকে তিন কিলোমিটার উত্তরে তুফানগঞ্জ নিয়ন্ত্রিত বাজারটি তৈরি করা হয়। এখানে প্রতি সপ্তাহে একদিন অর্থাৎ সোমবার করে গরুহাটি বসে। তুফানগঞ্জ মহকুমার ২৫ গ্রাম পঞ্চায়েতের ক্রেতা বিক্রেতারা এখানে গোরু কেনাবেচা করে থাকেন। এছাড়াও এখানে রয়েছে সবজি বাজার, মাছ বাজার, বিভিন্ন খাবারের দোকান সহ বিভিন্ন রকমারি দোকান। রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে বহুদিনের পুরোনো বাজারটি গুরুত্বহীন হয়ে পড়েছে। নেই পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থা, নেই নৈশ প্রহরী। দীর্ঘদিন থেকে যাতায়াতের রাস্তা বেহাল হয়ে পড়ে রয়েছে। শৌচাগার নিয়মিত পরিষ্কার হয় না। যত্রতত্র আবর্জনার স্তূপ। নানা সমস্যায় জর্জরিত হওয়ার কারণে বাজারে ক্রেতার সংখ্যা দিন দিন কমছে।
বিক্রেতা অব্বর মিয়াঁ বলেন, ‘বাজার চত্বরে নোংরা আবর্জনা স্তূপ থেকে দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে। বছরের পর বছর এটি লক্ষ্য করা যাচ্ছে। বাজারটির সৌন্দর্য ফিরিয়ে আনতে বাজার চত্বরে ডাম্পিং গ্রাউন্ড তৈরি করা হোক।‘ তুফানগঞ্জ নিয়ন্ত্রিত বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি তথা বিক্রেতা সঞ্জিত সূত্রধর বলেন, ‘তুফানগঞ্জ নিয়ন্ত্রিত বাজারটি প্রশাসনের চূড়ান্ত গাফিলতির কারণেই আজ এমন দশা হয়েছে। বহু বছর থেকে অফিস সংলগ্ন এলাকায় নোংরা আবর্জনা ফেলার কারণে পরিবেশ দূষণ যেমন ছড়াচ্ছে তেমনি দুর্গন্ধে কাছ দিয়ে যাতায়াত করা যায় না।‘ তুফানগঞ্জ নিয়ন্ত্রিত বাজার কমিটির ইনচার্জ নেপাল চন্দ্র দে বলেন, ‘বিষয়টি ঊর্ধ্বন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি।‘ নিয়ন্ত্রিত বাজার কমিটির জেলা সম্পাদক দেবাঞ্জন পালিত বলেন, ‘বিষয়টি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।‘