রায়গঞ্জ: রায়গঞ্জ ব্লকের ৩ নম্বর মহীপুর অঞ্চলের বলাইগাঁও এবং কান্তর গ্রামের বেশ কয়েকটি আদিবাসী পরিবারকে র্যাশনসামগ্রী না দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় ডিলারদের বিরুদ্ধে। এদের মধ্যে কারোর ডিজিটাল কার্ড নেই, আবার কারোর কোনো কার্ডই নেই। সরকারি ঘোষণা মতো সাধারণ মানুষ র্যাশন না পাওয়ায় ক্ষুদ্ধ অনেকেই। র্যাশন না পেয়ে অনেকেই পঞ্চায়েত মেম্বার থেকে প্রধানের দুয়ারে দুয়ারে ঘুরছেন। কারোর আবার কোনো কার্ডই নেই। কিন্ত রাজ্য সরকার জানিয়ে দিয়েছে, লকডাউন চলাকালীন র্যাশন কার্ড বা ফুড কুপন থাকলেই র্যাশন দিতে হবে। এই সঙ্কটময় পরিস্থিতিতে নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে চাল ও গম দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে রাজ্য সরকার। এই নির্দেশ অমান্য করে কোনও ডিলার র্যাশনসামগ্রী দিতে অস্বীকার করলে বিষয়টি প্রশাসনের গোচরে আনার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। যদিও রায়গঞ্জ মহকুমা শাসক অর্ঘ্য ঘোষ জানিয়েছেন, ‘প্রত্যেকেই র্যাশন সামগ্রী পাবেন। কেউ কোনওভাবে পিডিএস সাপ্লাইয়ের আওতাভুক্ত না হলে স্পেশাল গ্রাউন্ডে পাবেন। সেভাবেই খাদ্য সরবরাহ করা হবে। বিপর্যয় মোকাবিলা দপ্তর থেকেও ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। বিডিওকে বিষয়টি জানিয়ে রাখছি।’
বিনামূল্যে র্যাশন সামগ্রী পাচ্ছেন না বলে অভিযোগ বলাইগাঁঁও গ্রামের আদিবাসী নেতা নিকোলাস মার্ডির। তিনি জানান, দুই গ্রামের প্রায় ১০টি আদিবাসী পরিবার র্যাশনসামগ্রী পাচ্ছেন না। এদের কারো ডিজিটাল কার্ড নেই, আবার কারো কোনো কার্ডও নেই। কিন্ত রাজ্য সরকার ঘোষণা করেছেন লকডাউনের সময় সকলেই র্যাশন পাবেন। তবে র্যাশন ডিলার কোনো কথাই শুনতে চাইছেন না। তাদের বারবার ঘুরিয়ে দেওয়া হচ্ছে। এক সপ্তাহ হয়ে গেলেও কুপন মেলেনি। বলাইগাঁও গ্রামের সনিতা মুর্মু, ছটকা মার্ডি, তুলানি সরেন, সুশিলা মুর্মু, ফুলমনি মুর্মু, বাঙলী হেমরম, মুদারি হেমব্রম, মামনি মুর্মু এবং কান্তর গ্রামের মল্লিকা হেমব্রম, ফুলচাঁদ গুঝার সহ আরও অনেকেই বিনামূল্যে র্যাশনসামগ্রী পাচ্ছেন না। বাসিন্দাদের অভিযোগ, ‘শহরে গরীব মানুষদের বিভিন্ন সংস্থা খাবার দিলেও আমাদের দিকে কেউ তাকাচ্ছে না। র্যাশনসামগ্রী পর্যন্ত পাচ্ছি না। বাড়ির শিশু এবং বয়স্কদের নিয়ে আমরা খুব সমস্যায় আছি।’