চাঁচল: ইউজিসির রেজোলিউশন অনুযায়ী কলেজের জন্য পাঁচ একর জমি থাকা বাধ্যতামূলক। তা না হলে সেই কলেজের অনুমোদন বাতিল হয়ে যাবে। কিন্তু বর্তমানে জমি সংকটে ভুগছে চাঁচল(Chanchal) কলেজ। তাই অনুমোদন হারানোর ভয়ে রয়েছে চাঁচল কলেজ কর্তৃপক্ষ। বিষয়টি সহানুভূতির সঙ্গে দেখার আবেদন জানানো হয়েছে বিভিন্ন দপ্তরে।
চাঁচল রাজবাড়ির একাংশকে ঘিরে ১৯৬৯ সালে গড়ে ওঠে চাঁচল কলেজ। ১৯৭৬ সালে চাঁচল রাজার তরফে রাজবাড়ির একাংশ দান করা হয়। যার পরিমাণ ৬.৮৬ একর। পরে রাজার অনেক জমির মতোই কলেজের ওই জমির ৬.০৯ একর খাস হয়ে যায়। কিন্তু কয়েকদিন আগে কলেজের পিছনের প্রাচীর ভাঙা হচ্ছে দেখে টনক নড়ে কলেজ কর্তৃপক্ষের। তখনই খোঁজ নিয়ে কলেজ কর্তৃপক্ষ জানতে পারেন যে কলেজের ৬.০৯ একরের মধ্যে ৫.১৮ একর জমি আইন বিভাগের নামে হস্তান্তর হয়ে গিয়েছে।
তাই জেলা প্রশাসনের পাশাপাশি শিক্ষামন্ত্রীর দ্বারস্থ হয়েছেন কলেজ কর্তৃপক্ষ। ছয় একরেরও বেশি জমি থাকা কলেজের হাতে এখন রয়েছে এক একরেরও কম জমি। এদিকে, চাঁচল রাজবাড়ির অন্যদিকে রয়েছে চাঁচল মহকুমা আদালত। ২০১২ সালে রাজবাড়ির ওই অংশ কেনার পর সেখানেই আদালত চালু হয়। কলেজের খাস জমি ভুল করে সরকার লাগোয়া আদালতের কাজে ব্যবহারের জন্য আইন বিভাগের নামে হস্তান্তর করে দেওয়া হয় বলে ধারণা কলেজ কর্তৃপক্ষের। যদিও কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ অজিতকুমার বিশ্বাস জানান, ‘বিষয়টি কয়েকদিন হল জানতে পেরেছি। এরমধ্যেই সুরাহার জন্য শিক্ষামন্ত্রী ছাড়াও উচ্চশিক্ষা দপ্তরে আবেদন করেছি।’ তিনি জানান, বছর খানেক হল দায়িত্ব নিয়েছেন, বিদায়ী ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ এ নিয়ে তাঁকে কিছু জানাননি। গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য শান্তা ছেত্রী এব্যাপারে বলেন, ‘বিষয়টি শুনেছি। সেটা যে ভাবেই হোক মেটাতে হবে।