নাগরাকাটা: পাশাপাশি দুটি উপস্বাস্থ্যকেন্দ্র ও অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র তৈরি হয়েছে বছরতিনেক আগে। ঝোড়ার পাশে নির্মিত ওই দুই ভবনে ঢোকার জন্য দু’বছর আগে কালভার্টও তৈরি করা হয়। তবে নেই কোনও অ্যাপ্রোচ রোড। উপস্বাস্থ্যকেন্দ্র ও অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে ব্যবস্থা নেই পানীয় জল কিংবা বিদ্যুতের। সবমিলিয়ে বর্তমানে গোরু-ছাগল রাখার গোয়ালঘরে পরিণত হয়েছে দুটি ভবনই। পরিষেবা চালু না হওয়ার কারণে ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী। ঘটনাটি নাগরাকাটার (Nagrakata) ঘাসমারি বস্তির। বিডিও বিপুল কুমার মণ্ডল অবশ্য আশ্বাস দিয়েছেন দ্রুত সবকিছু খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
ব্লক স্বাস্থ্য দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, বর্তমানে এলাকার উপস্বাস্থ্যকেন্দ্রটি ঘাসমারি লাগোয়া ছাড়টন্ডু বস্তিতে চালু না হয়ে একটি আপার প্রাইমারি স্কুলের ভবনে অস্থায়ীভাবে চলছে। ঘাসমারিতে নতুন ভবন তৈরির কাজ হলেও তা এখনও হস্তান্তরিত না হওয়ায় সেখানে স্থায়ী ভিত্তিতে উপস্বাস্থ্যকেন্দ্রটি চালু করা যায়নি। একই অবস্থা অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রটিরও। স্থায়ী ভবনটি না মেলার কারণে ২৭৫ নম্বর অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রটি ঘাসমারি বস্তির একজনের বাড়িতে চলছে।
ঘাসমারি ও ছাড়টন্ডুর মাঝামাঝি এলাকায় নির্মিত উপস্বাস্থ্যকেন্দ্র ও অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের ঠিক সামনেই একটি ঝোড়া রয়েছে। সেখানে কালভার্ট না থাকলে বছরের একটা বড় সময় দুটি ভবনে ঢোকা সম্ভব নয়। ওই কাজটি যদিও করা হয়েছে তবে দু’পাশে কোনও অ্যাপ্রোচ রোড নেই। ফলে তা ব্যবহার করা অসম্ভব। মাটি ফেলে কালভার্টের দু’পাশ ভরাট করে অ্যাপ্রোচ রোডটি তৈরি হলে ছাড়টন্ডু লাগোয়া ডায়নার জঙ্গলঘেঁষা ডাঙ্গি গোট নামে একটি এলাকার শতাধিক পরিবারের যাতায়াতের পথও সুগম হতো বলে স্থানীয়রা জানাচ্ছেন।
বৃহস্পতিবার উপস্বাস্থ্যকেন্দ্র ও অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রদুটি পরিদর্শনে যান তৃণমূল কংগ্রেসের নাগরাকাটা ব্লক কমিটির সভাপতি সঞ্জয় কুজুর। সবকিছু দেখে সঞ্জয় বলেন, ‘কী কারণে ভবন দুটি চালু করা হল না বোধগম্য নয়। যা যা করণীয় সবকিছু সেরে ফেলে যাতে নয়া ভবন থেকে পরিষেবা দেওয়া সম্ভব হয় সেটা দ্রুত নিশ্চিত করার আর্জি প্রশাসনকে জানানো হয়েছে। আশা করছি ঝোড়ার জল শুকোলেই অ্যাপ্রোচ রোড তৈরি সহ বাকি থাকা কাজ শুরু হয়ে যাবে।‘
আরও পড়ুন : বাঁধের পাথর সরিয়ে তৈরি হয়েছে রাস্তা, সেই পথেই নেপাল থেকে পাচার হয়ে ভারতে আসছে গোরু