বিশ্বজিৎ সরকার, রায়গঞ্জ: লকডাউন ভেঙে বাজারে উপচে পড়ল মানুষের ভিড়। সোমবার ভোরে উত্তর দিনাজপুরের হেমতাবাদ থানার বাজারে এই দৃশ্য চোখে পড়ে। সোমবার সকাল থেকেই হেমতাবাদের বিডিও অফিস সংলগ্ন ও হেমতাবাদ থানার ঢিল ছোঁড়া দূরত্বে পাইকারি মাছের বাজারে সামাজিক দূরত্বকে পরোয়া না করে ভিড় জমে ওঠে।
ঠাসাঠাসি করে মানুষ বেচাকেনা শুরু করেন। হাতে গ্লাভস কিংবা মুখে মাস্ক না পড়েই প্রচুর বিক্রেতা পাইকারি দরে মাছ কিনতে সাইকেলের পেছনে হাড়ি বেঁধে ভিড় জমান হেমতাবাদ থানার বিডিও অফিস সংলগ্ন এলাকায়। অন্যদিকে দূরত্ব বজায় রাখতে ভাটলের সবজি বাজার স্থান বদলে ফুটবল খেলার মাঠের চালু হয়েছে। কিন্তু সেই মাঠেও সরকারি বিধি নিষেধের তোয়াক্কা না করে বাসিন্দারা ঘেষাঘেষি করে হরেক সবজি, মাছ কিনলেন এদিন।
হেমতাবাদে পাইকারি বাজারে আসা ক্ষুদ্র ক্রেতারা জানান, সকাল ১১টার মধ্যে বাজার বন্ধ করে দিতে হচ্ছে, তাই হুড়োহুড়ি করে সবাই একসঙ্গে চলে এসেছেন। হেমতাবাদের বাসিন্দাদের আশঙ্কা, যেভাবে গাদাগাদি করে ভিড় জমছে, তাতে যে কোনো সময় করোনা ভাইরাস সংক্রামিত হতে পারে। তবে হেমতাবাদ থানার ওসি দিলীপ রায় বলেন, “মাছ ও সবজি বাজার অন্যত্র স্থানান্তরিত করা হয়েছে। আড়তদারদের বলা হয়েছে সোশ্যাল ডিসট্যান্স মেনে পাইকারি মাছ বিক্রি করতে। নচেৎ মাছের আড়ত বন্ধ করে দেওয়া হবে।”
হেমতাবাদের জয়েন্ট বিডিও আবির দত্ত বলেন, “এমনটা হওয়ার কথা নয়, খোঁজ নিয়ে দেখছি।” তবে রায়গঞ্জের মহকুমাশাসক অর্ঘ্য ঘোষ বলেন, “লকডাউনের নিয়ম মানা হচ্ছে কিনা তা দেখতে প্রতিদিন সকালে প্রায় প্রতিটি বাজার পরিদর্শন করা হচ্ছে। পাশাপাশি পুলিশ বাহিনীর কড়া নজর রাখছে। মাস্ক পড়ে সামাজিক দূরত্ব মেনে বাজার করা বাধ্যতামূলক।”