রাঙ্গালিবাজনা: ঝোরার গতিপথে তৈরি করা সেচবাঁধ ভেঙে গিয়েছে। তাই সেচের কাজে লাগানো যাচ্ছে না ঝোরার জল। শুখা মরশুমে সেচের জল না মেলায় পতিত পড়ে রয়েছে আলিপুরদুয়ার জেলার মাদারিহাটের পশ্চিম খয়েরবাড়ি ও ইসলামাবাদ গ্রামের কমবেশি এক হাজার বিঘা জমি। স্থানীয়দের অভিযোগ, ভেঙে যাওয়া সেচবাঁধটি সাত-আট বছর পরও পুনর্নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়নি।
পশ্চিম খয়েরবাড়ির বর্মনপাড়ায় একসময় মাটির বাঁধের মুখে হিউম পাইপ বসিয়ে হেউতিয়া ঝোরার জল সেচের কাজে লাগানো হত। পরে ওই এলাকায় সেচ ব্যবস্থা আরও উন্নত করতে কংক্রিটের ওভারফ্লো সেচবাঁধ তৈরি করে খয়েরবাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ। স্থানীয়রা জানান, তৈরির পর প্রথম বর্ষাতেই সেচবাঁধটি জলস্রোতের তোড়ে ভেঙে যায়। স্বাভাবিকভাবেই, অকেজো হয়ে পড়ে সেচনালাগুলি।
এদিকে, শুখা মরশুমে জমিতে জল না মিললেও বর্ষাকালে আরেক সমস্যা দেখা দিচ্ছে। ভাঙা সেচবাঁধের বিপরীত দিকে অবস্থিত কৃষিজমিগুলি বর্ষাকালে জলের তোড়ে ভেঙে যাচ্ছে। পাশাপাশি, বর্ষাকালে ছেকামারি থেকে জল নিয়ে আসার সেচনালাটির পাড় ভেঙে কৃষিজমিগুলি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। ক্ষতিগ্রস্তদের দাবি, সেচবাঁধটি পুনর্নির্মাণের পাশাপাশি ছেকামারি থেকে জল আনার মূল সেচনালাটি কংক্রিট দিয়ে বাঁধাই করতে হবে।
এ প্রসঙ্গে মাদারিহাট-বীরপাড়া পঞ্চায়েত সমিতির পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ রশিদুল আলম জানান, সেচবাঁধটি পুনর্নির্মাণের প্রাথমিক পরিকল্পনা করা হয়েছে। নতুন বছরের মার্চ মাসে কাজ শুরুর চিন্তাভাবনা চলছে। প্রথম ধাপে সেচনালা পাকা করা সম্ভব না হলেও সেচবাঁধটি পুনর্নির্মাণ করে জমিতে সেচের জল সরবরাহ করা শুরু হবে।
লাইক করুন আমাদের ফেইসবুক পেজ : https://www.facebook.com/uttarbangasambadofficial