আসানসোল: বিধানসভা ভোটের মুখে কোনরকম পুনর্বাসন ছাড়াই গত ৫-৬ দশক ধরে আসানসোলের কুমারপুর, চেলিডাঙ্গা ও বার্ণপুর সহ বিভিন্ন জায়গায় রেলের জমিতে অস্থায়ীভাবে ঘর বানিয়ে যেসব মানুষেরা বাস করছিলেন তাদেরকে উচ্ছেদের নোটিশ দিল রেল। রেলের জমিতে বাস করা মানুষদের ব্যক্তিগতভাবে ডেকে পাঠানো হচ্ছে রেল দপ্তরেও বলে জানা যায়। এমনই হাজারখানেক পরিবারকে উচ্ছেদের আগে পুর্নবাসনের দাবিতে আসানসোলের ডিআরএম অফিসে বুধবার বিক্ষোভ দেখাল উচ্ছেদ প্রতিরোধ কমিটি।
এদিন আসানসোল উচ্ছেদ প্রতিরোধ কমিটির ডাকে আসানসোলের কুমারপুরে থেকে একটি মিছিল করা হয়। সেই মিছিল ডিআরএম অফিসে আসে। ডিআরএম অফিস ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখানো হয়। পরে ডিআরএম অফিসে কমিটির পক্ষ থেকে স্মারকলিপিও জমা দেওয়া হয়। আন্দোলনের নেতৃত্বে ছিলেন পশ্চিম বর্ধমান জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের জেলার সাধারণ সম্পাদক অভিজিৎ ঘটক, আসানসোল উত্তর বিধান সভা ব্লক সভাপতি গুরুদাস ওরফে রকেট চট্টোপাধ্যায় ও শঙ্কর চক্রবর্তী।
অভিজিৎ ঘটক বলেন, ‘করোনার সময় এইসব মানুষেরা কাজ হারিয়ে কোনমতে বেঁচে আছেন। এখন যদি তাদের উচ্ছেদ করা হয় তাহলে তারা যাবেন কোথায়। প্রত্যেককেই রেল আলাদা করে ডেকে পাঠিয়ে বলছে অবিলম্বে ঘর ছেড়ে চলে যান। না হলে কিন্তু আমরা সব ভেঙ্গে দেব। আমাদের দাবি, এদেরকে উচ্ছেদ করার আগে পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করতে হবে। তারপরে উচ্ছেদ নিয়ে আলোচনা হবে। আর যদি তা না করা হয় তাহলে আমরা বৃহত্তর আন্দোলনে নামব। ভোটের মুখে রেলের এই নোংরা রাজনীতির প্রতিবাদে প্রতিরোধ কমিটির তরফে ডিআরএম অফিসে বিক্ষোভ দেখানোর পাশাপাশি স্মারকলিপি দেওয়া হয়েছে।’
অন্যদিকে, রেলের জমিতে যাঁরা থাকেন তাঁরা এদিন বলেন, ‘প্রায় ৪-৫ বছর ধরে আমরা এইসব জায়গায় অস্থায়ীভাবে ঘর বানিয়ে আছি। আমাদের ছেলেমেয়েরা এখানকার স্কুলে পড়াশোনা করে। আমাদের ভোটার কার্ড, রেশন কার্ড সব আছে। আমাদের যদি জমি থেকে সরাতেই হয় তাহলে মাথার উপর ছাদ দিতে হবে রেলকেই। না হলে আমরাও উঠব না। প্রয়োজনে আমৃত্যু অনশন করব। তখন দেখব রেল কি করে।’ তবে রেলের তরফে বলা হয়েছে, আইন মেনেই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।