মালদা: যে রাঁধে সে চুলও বাঁধে, এমনটাই প্রমাণ করলেন লিপিকা। মহারাষ্ট্রের পুনেতে আন্তর্জাতিক দেহ সৌষ্ঠব প্রতিযোগিতায় নজর কাড়লেন চাঁচল সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের এই স্বাস্থ্যকর্মী। মিস্টার অ্যান্ড মিসেস ইউনিভার্স প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে পুনেতে গিয়েছিলেন লিপিকা দেবনাথ। সেখানেই ষষ্ঠ স্থান ছিনিয়ে নিয়েছেন তিনি। জাতীয় স্তরের প্রতিযোগিতায় এর অাগেও সাফল্য এসেছে লিপিকার ঝুলিতে। জাতীয় দেহ সৌষ্ঠব প্রতিযোগিতায় তৃতীয় হয়েছিলেন। তবে লিপিকা আদপে মালদার বাসিন্দা নন। তাঁর বাড়ি ত্রিপুরায়। ২০২০ সালে কর্মসূত্রে ত্রিপুরার ধালাই জেলার সালেমা থেকে মালদার চাঁচলে আসা। সঙ্গে করে নিয়ে এসেছিলেন বডি বিল্ডার হওয়ার স্বপ্নটাও।
চাঁচলে নার্সিংয়ের কাজ করার ফাঁকেই বডি বিল্ডার হয়ে ওঠার স্বপ্ন পূরণের লড়াই শুরু করেন লিপিকা। তবে আন্তর্জাতিক স্তরের প্রতিযোগিতায় পৌঁছানোর পথটা মোটেও মসৃণ ছিল না। রোজ ভোরে চাঁচল থেকে সরকারি বাস ধরে মালদায় আসেন। তারপর ট্রেনার পিঙ্কু ভগতের তত্ত্বাবধানে প্রশিক্ষণ নিতে থাকেন। কয়েক ঘণ্টার প্রশিক্ষণ শেষে আবার চাঁচলে ফিরে ডিইটিতে যোগ দেওয়া। কড়া এই রুটিনেই কেটে যায় আটটা মাস। তারপর মহারাষ্ট্র। পুনেতে ১৫ থেকে ১৮ এপ্রিল প্রতিযোগিতার আসর বসে। সেখানেই ষষ্ঠ হয়েছেন লিপিকা। নিজের অভিজ্ঞতার কথা বলতে গিয়ে আবেগপ্রবণ হয়ে পড়লেন তিনি। জানান, তিনি মা-বাবার একমাত্র সন্তান। ছোট থেকে বাবা যোগেশচন্দ্র দোবনাথই বড় হওয়ার স্বপ্ন দেখিয়েছেন। সেখান থেকেই অনুপ্রেরণা পেয়েছেন। আর পিছন ফিরে তাকাননি। এবার লিপিকার লক্ষ্য অলিম্পিক স্তরে খেলার।
আরও পড়ুন : ট্র্যাক্টরের ধাক্কায় মৃত্যু বৃদ্ধের