নয়াদিল্লি: দশেরাতে রাবণের কুশপুতুল পুড়িয়ে অশুভের ওপর শুভের জয়ের আনন্দে মাতেন গোটা দেশ। কিন্তু রাবণের মাথার বদলে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির মুখের ছবি! পাশে রাবণের অন্যান্য মাথার জায়গায় কোথাও অমিত শাহ, কোথাও যোগী আদিত্যনাথ, কোথাও রাজনাথ সিং আবার কোথাও ‘প্রধানমন্ত্রীর ঘনিষ্ঠ’ বলে পরিচিত শিল্পপতিদের ছবি! ঘটনাটি ঘটেছে, কংগ্রেস শাসিত পঞ্জাবে। আর এই ঘটনার পরই সুর চড়াতে শুরু করেছে গেরুয়া শিবির।
জানা গিয়েছে, দশেরা পালনে রবিবার সন্ধ্যায় পঞ্জাবের বিভিন্ন শহরে-গ্রামে এমনই রাবণ দহনে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির মুখের ছবি ব্যবহার করা হয়েছে।পাশে ছিল ‘প্রধানমন্ত্রীর ঘনিষ্ঠ’ বলে পরিচিত শিল্পপতিদের ছবি। আর তা নিয়েই শুরু হয়েছে রাজনীতির তর্কবিতর্ক। কংগ্রেস-সহ বিরোধী নেতাদের বক্তব্য, এহেন রাবণ দহন চাষিদের ক্ষোভের প্রকাশ ছাড়া আর কিছুই নয়। মোদি সরকারের উচিত তা বুঝে চাষিদের সঙ্গে কথা বলা। অন্যদিকে, বিজেপির অভিযোগ, এর পিছনে আসলে কংগ্রেসের মদত রয়েছে।
কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধি এভাবে দশেরায় মোদির কুশপুতুল দহনের বিষয়ে বলেন, ‘রবিবার পঞ্জাব জুড়ে এই ঘটনা ঘটেছে। প্রধানমন্ত্রীর প্রতি পঞ্জাবে যে এই রকম রাগ তৈরি হয়েছে, তা খুবই দুঃখজনক। এটি খুবই বিপজ্জনক প্রবণতা, দেশের জন্যও খারাপ।’
বিজেপির পাল্টা অভিযোগ, কংগ্রেসই এই কাজ করিয়েছে। বিজেপি নেতা রাজ্যবর্ধন সিংহ রাঠোরের যুক্তি, বিরোধী আসনে থাকতে হওয়ায় কংগ্রেসের হতাশা ফুটে বার হচ্ছে।
যদিও হাত শিবিরের যুক্তি, প্রধানমন্ত্রীর উচিত চাষিদের সঙ্গে কথা বলা। তাদের কথা শোনা। সুরাহার বন্দোবস্ত করা।
জানা গিয়েছে, রবিবার পঞ্জাব-হরিয়ানার বিভিন্ন এলাকায় ভারতীয় কিসান ইউনিয়ন ও অন্যান্য কৃষক সংগঠন প্রধানমন্ত্রী ছবি সহ রাবণের কুশপুতুল দাহ করেছে। কৃষক সংগঠনের নেতাদের যুক্তি, এই প্রতিবাদে গ্রাম থেকে শহর, নারী-পুরুষ নির্বিশেষে মানুষ অংশ নিয়েছে। গোটা পঞ্জাবের মানুষ মোদি সরকারের তিন কৃষি আইনের বিরুদ্ধে চাষিদের পাশে দাঁড়িয়েছে। এরপরে ২৭ অক্টোবর জাতীয় স্তরে কৃষক সংগঠনগুলির পরবর্তী কর্মসূচি ঠিক হবে। ৫ নভেম্বর পঞ্জাবে বনধ পালন হবে।