কলকাতা: রাজ্যে আরও একজন করোনা আক্রান্তের হদিস মিলল। ৫৭ বছরের ওই প্রৌঢ় বেলঘরিয়ার বাসিন্দা। তাঁর নমুনা পরীক্ষার রিপোর্ট এসে পৌঁছেছে নাইসেড থেকে। সেখান থেকেই তাঁর রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে। এলাকায় একটি ফাস্টফুডের দোকান রয়েছে ওই প্রৌঢ়ের। ৩০ মার্চ তাঁর লালারসের নমুনা পরীক্ষার জন্য নাইসেডে পাঠানো হলে আজ তাঁর রিপোর্ট এসে পৌঁছায়। এই নিয়ে রাজ্যে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ২৭ জন।
পরিবার ও প্রকিবেশীদের সূত্রে খবর, গত দু’মাসে ওই ব্যক্তি বেলঘরিয়ার বাইরে যাননি। তবে কীভাবে মারণ ভাইরাসের সংক্রমণ ঘটল তাঁর শরীরে তাই এখন স্বাস্থ্য ভবনের মাথা ব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাঁর পরিবারের সকলকে কোয়ারান্টিনে পাঠানো হয়েছে। স্বাস্থ্যভবনের নির্দেশ অনুযায়ী পরবর্তী পদক্ষেপ করা হবে।
গোটা দেশের পাশাপাশি রাজ্যেও ক্রমশ করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে চলেছে। তার সঙ্গে বাড়ছে মৃতের সংখ্যাও। করোনায় আক্রান্ত হয়ে আজই রাজ্যে তৃতীয় ব্যক্তির মৃত্যু হয়। হাওড়া জেলা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ওই মহিলা রিপোর্ট আসার আগেই গতকাল সন্ধ্যায় মারা যান। মঙ্গলবার সকালে তাঁর মৃত্যুর কারণ হিসেবে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণকে দায়ী করা হয়। সালকিয়ার বাসিন্দা ওই মহিলার বয়স ৪৮। সম্প্রতি, ডুয়ার্স থেকে ফিরেছেন তিনি।
অপরদিকে, বাংলায় প্রথম করোনায় মৃত্যুর ঘটনা ঘটে ২৩ মার্চ। সল্টলেকের একটি বেসরকারী হাসপাতালে দমদমের বাসিন্দা এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়। জ্বর-সর্দি-কাশির মতো উপসর্গ নিয়ে ১৬ মার্চ সল্টলেকের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হন ৫৭ বছরের ওই প্রৌঢ়। তিনদিন হাসপাতালে পর্যবেক্ষণে থাকার পরও তাঁর শারীরিক পরিস্থিতির উন্নতি হয়নি। ১৯ মার্চ শ্বাসকষ্ট বেড়ে যাওয়ায় তাঁকে ভেন্টিলেশনে রাখা হয়। দু’রকম রিপোর্ট আসার পর জানা যায়, ওই প্রৌঢ় করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন।