চালসা : মাত্র ১ জন শিক্ষিকা দিয়ে ৬০ জন পড়ুয়ার একটি প্রাথমিক স্কুল চলছে। ঘটনাটি অবাক লাগলেও মেটেলি ব্লকের খরপাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এটাই বাস্তব ছবি। স্কুলের পাঁচটি শ্রেণির পড়ুয়াদের পঠনপাঠন সহ মিড-ডে মিল এবং যাবতীয় বিষয় স্কুলের একমাত্র ওই শিক্ষিকাকে দেখতে হচ্ছে। স্কুলে অন্য শিক্ষক না থাকায় সরকারি বিভিন্ন মিটিং সহ কর্মশালায় য়েতে হলে বাধ্য হয়ে ওই দিনে স্কুলটি ছুটি রাখা হয়। এর জেরে পঠনপাঠনে সমস্যা হচ্ছে শিশুদের।
মাটিয়ালি-বাতাবাড়ি-২ গ্রাম পঞ্চায়েতের ওই প্রাথমিক স্কুলটিতে ২০১৭ সাল পর্যন্ত ৪ জন শিক্ষক-শিক্ষিকা ছিলেন। ২০১৯ সালে শিক্ষক তন্ময়কুমার দে জলপাইগুড়ির অন্য একটি স্কুলে চলে যান। চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে প্রধান শিক্ষক বিমলচন্দ্র রায় অবসর নেন। চলতি বছর ফেব্রুয়ারি মাসে আরেক সহ শিক্ষিকা বিদিশা রায় মাতৃত্বকালীন ছুটিতে চলে যান। তারপর থেকেই স্কুলের যাবতীয় কাজ সামলাচ্ছেন ভারপ্রাপ্ত শিক্ষিকা মাম্পি শীল। মাম্পি বলেন, স্কুলে পর্যাপ্ত শিক্ষক না থাকাটাই মূল সমস্যা। মৌখিকভাবে বিষয়টি স্কুল পরিদর্শককে জানানো হয়েছে। একার পক্ষে স্কুল চালাতে সমস্যা হয়। মিড-ডে মিল সহ পঠনপাঠনের যাবতীয় কাজ আমাকেই করতে হচ্ছে। ফলে পড়ুয়াদের পড়াশোনাই ঠিক করে হচ্ছে না।
পশ্চিমবঙ্গ তৃণমূল প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির মেটেলি সার্কেল সভাপতি শচীন দার্নাল বলেন, মেটেলি ব্লকে ৬টি এক শিক্ষকবিশিষ্ট প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। ওই স্কুলগুলি চালাতে খুবই সমস্যা হচ্ছে বলে আমরা সেগুলিতে শিক্ষক নিয়োগের বিষয়ে শিক্ষা দপ্তরকে জানিয়েছি। নিখিল বঙ্গ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির মেটেলি সার্কেল সভাপতি বিমলেন্দু সিংহরায় বলেন, সংগঠনগতভাবে আমরাও ওই স্কুলগুলিতে শিক্ষক সমস্যার কথা শিক্ষা দপ্তরকে জানিয়েছি। জেলা শিক্ষা আধিকারিক (প্রাথমিক) মানবেন্দ্র ঘোষ বলেন, শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে শিক্ষা দপ্তর প্রক্রিয়া শুরু করেছে বলে শুনেছি। আশা করছি দ্রুত শিক্ষক সমস্যার সমাধান হবে।