বৈষ্ণবনগর, ২৫ মার্চ: বৈষ্ণবনগর এবং কালিয়াচক এলাকায় বিপুল পরিমাণ শ্রমিক বাইরে থেকে ফিরছেন গ্রামে। প্রাথমিক চিকিৎসার পর চিকিৎসকরা তাদের পরামর্শ দিচ্ছেন বাড়িতে বন্দি থাকার জন্য কিন্তু তারা সেটা শুনছেন না। তারা গ্রামের বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে বেড়াচ্ছেন। তাই ভিন রাজ্য থেকে আসা শ্রমিকদের সচেতন করতে এবার রাস্তায় নামলেন গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান ও ব্লক প্রশাসনিক কর্তারা। বুধবার সকালে অনন্তপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান মতিউর রহমান ও গোলাপগঞ্জ গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান জিয়াউল হক সীমান্ত এলাকার পরিযায়ী শ্রমিকদের সঙ্গে কথা বলেন এবং তাদের সতর্ক করেন এবং তাদের হাতে একটি করে মাক্স সাবান ও স্যানিটাইজার তুলে দেন। চরি অনন্তপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের ১৪টি বুথের সাধারণ মানুষদের হাতে হাত ধৌত করার এই উপকরণ তুলে দেওয়া হয়। অপরদিকে গোলাপগঞ্জ গ্রাম পঞ্চায়েতের সমস্ত এলাকাবাসীর হাতে মাক্স ও স্যানিটাইজার তুলে দেওয়া হয়। চরি অনন্তপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান মতিউর রহমান বলেন, ‘আমরা সীমান্ত এলাকার সমস্ত মানুষের হাতে স্যানিটাইজার মাক্স ও সাবান তুলে দিয়েছি এবং মানুষকে সচেতন করেছি। করোনা ভাইরাস সম্পর্কে সকলকে সতর্ক করা হয়েছে। পাশাপাশি মানুষের মধ্যে সচেতনতা করা হয়েছে এবং সকলে যেন সুস্থ থাকেন সেই দিকে নজর দেওয়া হয়েছে’। এছাড়া গ্রামের মধ্যে অসহায় মানুষদেরকে খাদ্য সামগ্রী বিলি করার আশ্বাসও দেন তিনি।
এদিন বিডিও গৌতম দত্ত বলেন, প্রতিটি গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধানদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে এলাকার সাধারণ মানুষের দিকে নজর রাখার জন্য। লম্বা লকডাউনের মধ্যে কোন দরিদ্র মানুষ যদি অসুবিধায় পড়েন তাহলে পঞ্চায়েতের প্রধানদের সেই সমস্ত মানুষদের পাশে দাঁড়াবার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এদিকে লকডাউনকে সফল করতে কালিয়াচক ও বৈষ্ণবনগর থানার পুলিশও গ্রামে ঘুরে তালিকার বাইরে থাকা দোকানপাট বন্ধ করার চেষ্টা চালান। দুপুরে বৈষ্ণবনগর থানার পুলিশ ও বৈষ্ণবনগর থানার আইসি মিলে জাতীয় সড়কে ব্যাপক নজরদারি চালান।