সামসী: রাজ্যে ত্রিস্তর পঞ্চায়েত নির্বাচন আসন্ন। পঞ্চায়েত নির্বাচনকে (Panchayet Election) পাখির চোখ করে শাসক থেকে বিরোধী সকলেই মাটি শক্ত করার জন্য ময়দানে ঝাঁপিয়ে পড়েছে। জেলায় জেলায় শুরু হয়েছে সভা ও পালটা সভা। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় মালতীপুর বিধানসভার জালালপুরে ছিল কংগ্রেসের প্রকাশ্য সমাবেশ। সমাবেশে কংগ্রেসের (Congress) মানিকচকের প্রাক্তন বিধায়ক মোত্তাকিন আলম ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন সুজাপুরের কংগ্রেসের প্রাক্তন বিধায়ক ঈশা খান চৌধুরী, মালতীপুরের প্রাক্তন বিধায়ক আলবেরুনী, চাঁচল-২ ব্লক কংগ্রেসের সভাপতি সৈয়দ মাঞ্জারুল ইসলামসহ দলের প্রায় কয়েক হাজার কর্মী-সমর্থক। সেই সমাবেশে কংগ্রেসের প্রাক্তন বিধায়ক মোত্তাকিন আলম বক্তব্য রাখতে গিয়ে পুলিশ ও প্রশাসনিক আধিকারিকদের নিশানা করেন। মোত্তাকিন জানান, আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনে তাঁদের লড়াই তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে নয়। মূল লড়াই পুলিশ ও প্রশাসনের বিরুদ্ধে। আসন্ন পঞ্চায়েত ভোট সুষ্ঠুভাবে করার দাবিতে জেলা পুলিশ সুপার, জেলাশাসক দপ্তর ঘেরাও হবে খুব শীঘ্রই। ২০১৮ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচনের ভোট লুটের স্মৃতি যদি ফিরিয়ে আনার চেষ্টা চলে তাহলে জেলার পুলিশ সুপার, জেলাশাসক, বিডিও ও এসডিও কাউকে রেয়াত করা হবে না। গোটা মালদা জেলা অচল করে দেওয়া হবে। পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে মোত্তাকিনের এই মন্তব্য ঘিরে বিতর্ক দেখা দিয়েছে।
যদিও কংগ্রেসের এই হুংকারকে গুরুত্ব দিতে নারাজ শাসকদল। তৃণমূল কংগ্রেস নেতা তথা জেলা পরিষদের সভাধিপতি এটিএম রফিকুল হোসেন সাফ বলেন, ‘পঞ্চায়েত নির্বাচন হবে নির্বাচন কমিশনের উদ্যোগে। এতে পুলিশ প্রশাসনের কোনও কিছু করার নেই। কংগ্রেসের মাথা খারাপ হয়ে গেছে। তাই রাস্তায় রাস্তায় ভুল বকে বেড়াচ্ছে।‘ কোনও মন্তব্য করার আগে কংগ্রেস নেতাদের আরও দায়িত্বশীল হওয়ারও পরামর্শ দেন রফিকুল।
আরও পড়ুন : গেম খেলতে মোবাইল দেননি বাবা, অভিমানে আত্মঘাতী কিশোর!