নকশালবাড়ি: বাংলাদেশি সন্দেহে আটক ব্যক্তিকে রেসিডেন্ট সার্টিফিকেট দিয়ে বিতর্কে জড়ালেন নকশালবাড়ি ব্লকের অন্তর্গত মণিরাম গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান। আটক ব্যক্তির নাম শ্যামল সরকার। মাসখানেক আগে কোচবিহার (Coochbehar) জেলার মেখিলগঞ্জ থানার পুলিশ বাংলাদেশ সীমান্ত থেকে ওই ব্যক্তিকে আটক করেন। আটক ব্যক্তির যাবতীয় নথিপত্র খতিয়ে দেখে পুলিশের সন্দেহ হয়। আটক শ্যামল সরকার মণিরাম গ্রাম পঞ্চায়েতের রেসিডেন্ট সার্টিফিকেট মেখলিগঞ্জ পুলিশকে জমা দেন। সেই রেসিডেন্ট সার্টিফিকেটের সূত্র ধরেই মেখলিগঞ্জ থানার তদন্ত টিম বৃহস্পতিবার মণিরাম গ্রাম পঞ্চায়েত কার্যালয়ে আসেন। সেখানে আটক ব্যক্তির যাবতীয় নথিপত্র খতিয়ে দেখেন। পঞ্চায়েত প্রধানকে রেসিডেন্ট সার্টিফিকেট নিয়ে নানা প্রশ্ন করেন। কিভাবে রেসিডেন্ট সার্টিফিকেট দেওয়া হল, যে ব্যক্তির নামে রেসিডেন্ট সার্টিফিকেট দেওয়া হয়েছে তার সত্যতা কি রয়েছে। দ্রুত শ্যামল সরকারের নথিপত্র যাচাই করার জন্য মেখলিগঞ্জ থানার পক্ষ থেকে একটি লিখিত অভিযোগ মণিরাম গ্রাম পঞ্চায়েতে করা হয়েছে। মেখলিগঞ্জ থানার ওসি রাহুল তালুকদার বলেন, ‘বাংলাদেশি সন্দেহে ওই ব্যক্তিকে মাসখানেক আগে আটক করা হয়েছিল। এখনও তদন্ত চলছে। এর বেশি কিছু বলা যাবে না।’ মণিরাম গ্রাম পঞ্চায়েত সূত্রে খবর, গত ১৪ অক্টোবর দক্ষিণ দয়ারামের বাসিন্দা কৃষ্ণচন্দ্র রায়ের সুপারিশে মণিরাম গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান গৌতম ঘোষ শ্যামল সরকারকে রেসিডেন্ট সার্টিফিকেট দেন। শ্যামল সরকারের জন্মগত সার্টিফিকেটের ভিত্তিতে এই রেসিডেন্ট সার্টিফিকেট দেওয়া হয়েছিল। বিষয়টি যে মেখলিগঞ্জে গিয়ে দাঁড়াবে তা কেউ বুঝতে পারেনি। এদিন মেখলিগঞ্জ থানার পুলিশ মণিরাম গ্রাম পঞ্চায়েতে এসে তদন্ত শুরু করাতেই হইচই পড়ে যায়।
মণিরাম গ্রাম পঞ্চায়েতের তরফে কৃষ্ণচন্দ্র রায়ের সুপারিশপত্র এবং শ্যামল সরকারের যাবতীয় নথিপত্র খতিয়ে দেখার জন্য পালটা অভিযোগ নকশালবাড়ি থানায় দায়ের করা হয়। অভিযোগ পেয়ে পুলিশ শ্যামল সরকারের বাড়িতে হানা দেয়। মণিরাম গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান গৌতম ঘোষ জানান, ‘আমরা সঠিক নথিপত্র যাচাই করেই রেসিডেন্ট সার্টিফিকেট দিয়েছি। শ্যামল সরকার রেসিডেন্ট সার্টিফিকেটের জন্য যা নথিপত্র পঞ্চায়েত অফিসে জমা করেছিল তার সঠিক তদন্তের জন্য থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। নথিপত্র কেউ ভুয়ো দেখালে তার জন্য আমরা দায়ী নয়। শ্যামল সরকার কোনও ভুয়ো নথিপত্র জমা দিয়ে থাকলে আমরা তার বিরুদ্ধে মামলা করব।’ নকশালবাড়ি থানার ওসি মানস দাস জানান, মণিরাম গ্রাম পঞ্চায়েত থেকে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। সব নথিপত্র খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
আরো পড়ুন : পুলিশ কি চুমু খেতে গিয়েছিল? কামড় বিতর্কে মন্তব্য সেলিমের