মাথাভাঙ্গা: সংগঠনের রদবদলের দাবি নিয়ে কোচবিহার জেলা তৃণমূল সভাপতি গিরীন্দ্রনাথ বর্মনের বাড়িতে গিয়ে শক্তি প্রদর্শন করলেন তৃণমূলের নেতা-কর্মীদের একাংশ। যদিও বিষয়টি সাংগঠনিক বলে এড়িয়ে যেতে চেয়েছে সবপক্ষই। এদিন হঠাৎই দিনহাটা ১ এবং তুফানগঞ্জ ১ ব্লকের শতাধিক তৃণমূল নেতা-কর্মী গিরীন্দ্রনাথ বর্মনের মাথাভাঙ্গার বাড়িতে এসে হাজির হন। যদিও সভাপতি তখন বাড়িতে ছিলেন না। পরিস্থিতি ঘোরালো হতে পারে খবর পেয়ে আগে থেকেই প্রস্তুত হয়ে সভাপতির নিরাপত্তায় মোতায়েন করা হয় পুলিশও। বিক্ষোভ হলে তা রুখতে টিয়ারগ্যাসও মজুত ছিল পুলিশকর্মীদের কাছে। যদিও পরিস্থিতি সেদিকে না গড়ানোয় স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলে প্রশাসন।
এদিন যারা জেলা সভাপতির বাড়িতে হাজির হয়েছিলেন তারা জগদীশ বর্মা বসুনিয়ার বিরোধী এবং উদয়ন গুহ ও পার্থ প্রতিম রায় ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত। এদের সঙ্গে ছিলেন দিনহাটার সঞ্জয় বর্মন, আবুয়াল আজাদ, তুফানগঞ্জের সামিউল ইসলাম, রফি আহমেদের মতো নেতারা। সভাপতির সামনে বিভিন্ন ব্লক ও অঞ্চলে নেতৃত্ব পরিবর্তনের দাবিও ওঠে বলে সূত্রের খবর। যদিও সংবাদমাধ্যমের সামনে কেউ মুখ খোলেননি। রফি আহমেদ বলেন, ‘সব কথা প্রেসের সামনে বলা যাবে না।’ সামিউল ইসলাম বলেন, ‘সাংগঠনিক কিছু অভ্যন্তরীণ সমস্যা রয়েছে সেগুলি নিয়ে জেলা সভাপতির সঙ্গে কথা বলার পাশাপাশি সৌজন্য সাক্ষাৎকারের জন্য এসেছি।’ একই বক্তব্য আবুয়াল আজাদের। তিনিও বলেন, ‘সাক্ষাৎকার করতে এসেছি।’ গিরীন্দ্রনাথ বর্মনও জানান, তাঁর কাছে কেউ নেতৃত্ব পরিবর্তনের দাবি জানায় নি। রাজ্যের নির্দেশ না আসা পর্যন্ত কোনও অঞ্চল কমিটি পরিবর্তন করা হবে না। এদিকে শোলমারি গ্রাম পঞ্চায়েতের সাত তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্যকে গোপন স্থানে তুলে নিয়ে যাওয়ার ঘটনায় সম্প্রতি দু-বার জেলা সভাপতি গিরীন্দ্রনাথ বর্মনের বাড়িতে এসে আলোচনা করেছেন সিতাইয়ের বিধায়ক জগদীশ বর্মা বসুনিয়া। ইতিমধ্যেই এই ঘটনা নিয়ে চর্চা চলছে। তার উপর এদিনের এই জমায়েত জেলা সভাপতির উপর চাপসৃষ্টির জন্য কিনা তা নিয়েও মাথাভাঙার রাজনীতিতে নতুন করে চর্চা শুরু হয়েছে।
আরও পড়ুন :কোচবিহারের মহারাজা হলেই কি মৌনীর রিসেপশন?