শিলিগুড়ি: মধ্যরাতে নার্সিংহোম থেকে উধাও রোগী! শিলিগুড়ির ঘটনা। শুক্রবার স্টেশন ফিডার রোডের একটি নার্সিংহোমে চিকিৎসাধীন ভুটকির বাসিন্দা উত্তম রায় (২৫) নার্সিংহোম থেকে বেরিয়ে বাড়ির পথে হাঁটা দেন। ২০ কিলোমিটার রাস্তা পেরিয়ে শনিবার সকালে তিনি বাড়িতে পৌঁছান। একটি নার্সিংহোম থেকে কিভাবে একজন রোগী মধ্যরাতে বেরিয়ে গেলেন, কেন নার্সিংহোমের কেউ তাঁকে আটকালেন না সেই প্রশ্ন উঠছে। নার্সিংহোমের তরফে জানানো হয়েছে, নার্স ওষুধ নিতে ফার্মাসিতে যাওয়ার সময়ই ওই রোগী কেবিন ছেড়ে বেরিয়ে যান। নিরাপত্তারক্ষীরা কোথায় ছিলেন সেটা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
উত্তমের দাদা গৌতম জানিয়েছেন, ভাই গত ৩০ এপ্রিল দুপুরে কেবল লাইনের কাজ করতে মই নিয়ে একটি বিদ্যুতের পোলে উঠেছিলেন। সেখান থেকে পড়ে গিয়েই মাথায় চোট পান। মাথায় রক্ত জমাট বেঁধে থাকায় তাঁকে ওইদিনই এসএফ রোডের একটি নার্সিংহোমে ভর্তি করা হয়। রাতেই অপারেশন করে মাথায় জমে থাকা রক্ত বের করেন চিকিৎসকরা। তারপর থেকে সেখানেই চিকিৎসাধীন ছিলেন উত্তম। গত তিন-চারদিন ধরেই তাঁকে ছুটি দেওয়ার কথা নার্সিংহোমের তরফে বলা হলেও আজ নয় কাল বলে বাহানা দেওয়া হচ্ছিল। তিনি বলেন, ‘শুক্রবার রাত ২টা নাগাদ নার্সিংহোম থেকে আমাদের ফোন করে বলা হয়, ভাই খুব চিৎকার চেঁচামেচি করছে। আপনারা নার্সিংহোমে আসুন। কিন্তু ভুটকি থেকে শিলিগুড়ি প্রায় ২০ কিলোমিটার দূরে। তাই রাতে না এসে আমরা এদিন সকালে নার্সিংহোমে আসি। এখানে পৌঁছেই শুনি ভাই নার্সিংহোমে নেই। খবর পেয়ে এলাকার বেশকিছু লোকজন এখানে চলে আসে। আমরা নার্সিংহোমে থাকাকালীনই খবর পাই উত্তম হেঁটে বাড়ি পৌঁছেছে। উত্তম রাত ১টার পর নার্সিংহোম থেকে বেরিয়ে হাঁটতে হাঁটতে ২০ কিলোমিটার পথ পেরিয়ে ভুটকির বাড়িতে পৌঁছেছে।’
আরও পড়ুন: জিটিএ ভোট না করানোর দাবিতে মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি বিমলের