পারডুবি: বিজ্ঞানের যুগে এখনও প্রত্যন্ত গ্রাম্য এলাকায় ভূত-প্রেত আছে বলে মনে করে গ্রামবাসীরা। আর এই ভূত-প্রেত তাড়াতে অনেকে ওঝার দ্বারস্থ হয়, আবার অনেকে পূজার্চনাও করেন। ঠিক তেমনই শনিবার মাথাভাঙ্গা ২ ব্লকের পারডুবি গ্রাম পঞ্চায়েতের বাজার সংলগ্ন এলাকায় ভূত-প্রেত তাড়াতে মহাসমারোহে পালিত হল প্যাত্ত্যানি পুজো। একটি শ্যাওড়া ও বেল গাছকে পুজো দেন গ্রামবাসীরা। এবার প্যাত্ত্যানি পুজো ৫১তম বর্ষে পা দিল।
গ্রামবাসীরা জানান, শ্যাওড়া ও বেল গাছের নীচে দুটি পাথরকে দেবতা রূপে পূজার্চনা করা হয়। এই পুজোয় গ্রামের অনেকে মানত হিসেবে চার জোড়া হাঁসের ডিম, চার জোড়া পায়রা প্যাত্ত্যানি দেবীর নামে উৎসর্গ করে। কলার ঢোঙ্গল কেটে তার উপর দই চিড়ে দিয়ে পুজার্চনা করেন। পাশাপাশি মন্দির চত্বরে দেবীর নামে লাল নিশান লাগানো হয়।
জানা যায়, স্বর্গীয় শিবহরি বর্মন প্রথম এই পুজোর আয়োজন করে। বর্তমানে তাঁর পরিবারের লোকজন নিয়ম মেনে কয়েক বছর পূজার্চনা করেন। তারপর এই পুজো সার্বজনীন হয়ে ওঠে। প্রায় ৫০ বছর আগে গ্রামে অনেকের মুখে ভূত-প্রেত ধরার ঘটনা প্রকাশ্যে আসত। তারপরেই এই পুজো শুরু হয়। গ্রামবাসীদের বিশ্বাস, শ্যাওড়া ও বেল গাছে ভূত-প্রেত সাধারণত বসবাস করে। তাই এলাকায় থাকা এই দুই গাছকেই প্যাত্ত্যানি দেবী হিসেবে পূজার্চনা করা হয়। গ্রামবাসীদের বিশ্বাস, এই পুজো করার পর গ্রামে ভূত পেত্নী ধরা পড়ার কোনও খবর নেই।