শিলিগুড়ি : প্রশাসনের তরফে বারবার মানুষকে অযথা বাড়ি থেকে না বেরোনোর নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু শহরের বিভিন্ন নদীর ঘাট, মাঠে গেলে একেবারেই অন্য দৃশ্যের সাক্ষী থাকতে হচ্ছে। সকাল থেকেই সেখানে আড্ডা, ক্রিকেট খেলা চলছে। এমনকি, কিছু মানুষ জায়গায় জায়গায় জুয়া খেলছে। পুলিশের তরফে অবশ্য এই সমস্ত জায়গায় দিনে একাধিকবার অভিযান চালানো হচ্ছে। কিন্তু পুলিশ ফিরে যেতেই পরিস্থিতি আবার আগের মতো হযে যাচ্ছে। এখানে অনেকেরই মুখে যেমন মাস্ক নেই, তেমনি অনেকে স্বাস্থ্যবিধি মানছেন না।
শিলিগুড়ির মহকুমা শাসক সুমন্ত সহায় বলেন, পুলিশকর্মীর সংখ্যা কম থাকায় প্রশাসনের তরফে সবসময় এক জায়গায় নজর রাখা সম্ভব নয়। সাধারণ মানুষকেই নিজের ভালো বুঝতে হবে। নইলে আমাদের তার ফল ভুগতে হবে। চিকিৎসক মহলের মতে, করোনা সংক্রমণ ছড়ানোর ক্ষেত্রে একমাত্র বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারে সামাজিক দূরত্ব। এই পরিস্থিতিতে ইতিমধ্যে সরকারের তরফে লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে। সাধারণ মানুষ য়াতে অযথা বাইরে না ঘোরেন, তা নিশ্চিত করতে কড়া মনোভাব নিচ্ছে পুলিশ। এমনকি, পুলিশের তরফে শহরের অলিগলিতে অভিযানও চালানো হচ্ছে। কিন্তু এরপরও যেন সকাল থেকে মেলা লেগে থাকছে বিভিন্ন মাঠ, নদীর ঘাটে। জ্যোতিনগর ঘাট থেকে শুরু করে রামজানে বস্তি, কুলিপাড়া লাগোয়া নদীর চর, সর্বত্রই জটলা দেখা যাচ্ছে। কোথাও আড্ডা চলছে, কোথাও ক্রিকেট খেলা হচ্ছে। কোথাও আবার প্রকাশ্যেই জটলা করে জুয়ার আসর বসছে। শুক্রবার চতুর্থ মহানন্দা সেতু লাগোয়া জ্যোতিনগর ঘাটে যেতেই দেখা গেল, আট থেকে আশি সবাই চরে যে যার কাজে ব্যস্ত। ছোটরা যেমন ক্রিকেট খেলছে, তেমনি বড়দের একাংশ জুয়া খেলতে ব্যস্ত। সামনে যেতেই অবশ্য ওই ব্যক্তিরা জুয়ার আসর ছেড়ে পালানোর চেষ্টা করলেন। এককোণে বসে থাকা বয়স্ক এক ব্যক্তিকে প্রশ্ন করতেই বললেন, বাড়িতেই ছিলাম। একটু হাওয়া খেতে বেরোলাম। মাস্কের কথা জিজ্ঞাসা করতেই বললেন, সকাল থেকেই পরেছি। আর পরতে ইচ্ছে করছে না। বড়রাই যখন এতটা অসচেতন, তখন ছোটদের সচেতন করার যে কেউ নেই তা তো স্বাভাবিক। ছোটদের কথায়, বাড়ি থেকে না বেরোনোর কথা কেউ বলেনি।