তপনকুমার বিশ্বাস, ইসলামপুরঃ সরকারি নির্দেশিকাকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে প্রকাশ্যে সিগারেট, বিড়ি ফুঁকার পাশাপাশি গুটখা চিবিয়ে থুতু ফেলছে নেশাড়ুরা। ইসলামপুর শহর সহ মহকুমার প্রায় সর্বত্র এই চিত্র দেখা দেওয়ায় চিন্তিত বাসিন্দাদের একাংশ। করোনা পরিস্থিতিতে তা দেখে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে বাসিন্দাদের মধ্যে। তবে এ বিষয়ে নেশাড়ুদের কোনও হেলদোল নেই বলেই অভিযোগ।
এদিকে, ইসলামপুর মার্চেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের তরফে জানানো হয়েছে, ব্যবসায়ীদের গুটখা বিক্রি বন্ধ করতে বলা হয়েছে। তারপরেও এক শ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ী গুটখা বিক্রি করে চলছে বলে খবর পাওয়া গিয়েছে। এ বিষয়ে প্রশাসনের নজরদারির প্রয়োজন রয়েছে।
উত্তর দিনাজপুর জেলার ডেপুটি সিএমওএইচ-২ দেবাশিস মণ্ডল বলেন, ‘আমরা বর্তমান পরিস্থিতি সামাল দিতে আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। এর মধ্যে এক শ্রেণির মানুষ সচেতন হচ্ছে না, সেটাই অবাক হওয়ার। এতবার গুটখা, পানমশলা, সিগারেট নিয়ে সতর্ক করা সত্ত্বেও একই ছবি দেখা যাচ্ছে। তবু বিষয়টি দেখা হচ্ছে। এ বিষয়ে পুলিশ ও প্রশাসনকে বিষয়টি দেখতে বলা হয়েছে।’
স্থানীয় ও প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, আইন করে গুটখা নিষিদ্ধ করা হয়েছে। তার উপরে করোনা ভাইরাসের প্রকোপ শুরু হওয়ায় আরও বেশি করে বাসিন্দাদের সতর্ক করা হয়েছে। স্বাস্থ্য দপ্তর তো বটেই পুলিশ-প্রশাসনও সতর্ক করেছে। তারপরেও ইসলামপুরে পানমশলা ও গুটখা পাড়ার মুদিখানা দোকান থেকে শুরু করে পানের দোকানে প্রকাশ্যে বিক্রি হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগ, অনেক নেশাড়ু আবার গুটখা মজুত করতে শুরু করেছে। সেই সুযোগ নিয়ে কোথাও দ্বিগুণ, কোথাও তিনগুণ দামে ওই সব জিনিস বিক্রি করা হচ্ছে। প্রকাশ্যেই ধূমপান, গুটখার নেশা চলছে। এমন অবস্থা বিপজ্জনক বলেই মনে করছেন স্বাস্থ্য দপ্তরের কর্তারা।
এদিকে, ইসলামপুর মার্চেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের মুখপাত্র দামোদর আগরওয়াল বলেন, ‘সরকার গুটখা বিক্রিতে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। করোনা পরিস্থিতিতেও নেশাড়ুরা দেদার গুটখা চিবিয়ে যেখানে সেখানে থুতু ফেলছে। বর্তমান পরিস্থিতিতেও মানুষ উদাসীন থেকে যাচ্ছে। এটাই হচ্ছে সমস্যা। আমাদের তরফে সমস্ত মার্কেটকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, গুটখা বিক্রি করা চলবে না। গুটখা যদি কেউ নিজ দায়িত্বে বিক্রি করে আমাদের কোনও দায় থাকবে না।’
ইসলামপুরের মহকুমা শাসক খুরশিদ আলম বলেন, ‘বিষয়টি খতিয়ে দেখে শীঘ্রই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’ এ বিষয়ে ইসলামপুর জেলা পুলিশ সুপার শচীন মক্করের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তাঁকে পাওয়া যায়নি। তবে এক পুলিশ কর্তা জানিয়েছেন, পরিস্থিতির উপর নজর রাখা হচ্ছে।