উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্ক: মহম্মদকে নিয়ে মন্তব্যের জেরে বিজেপির প্রাক্তন মুখপাত্র নূপুর শর্মাকে তীব্র ভর্ৎসনা করেছিল সুপ্রিম কোর্টের দুই বিচারপতির বেঞ্চ। এই বেঞ্চের সদস্য ছিলেন বিচারপতি সূর্যকান্ত ও জেবি পারদিওয়ালা। এরপরই সংবাদের শিরোনামে উঠে আসেন এই দুই বিচারপতি। নেটিজেনদের একাংশের রোষের মুখে পড়তে হয় তাঁদের। এরপরই সামাজিক মাধ্যমে ‘ব্যক্তিগত আক্রমণ’ প্রসঙ্গে সরব হলেন বিচারপতি জেবি পারদিওয়ালা। রবিবার এ বিষয়ে মন্তব্য করে তিনি বলেন, ‘সামাজিক মাধ্যমে বিচারকদের ব্যক্তিগত আক্রমণ চলতে পারে না।’ এই প্রসঙ্গেই তিনি তুলে ধরেন সামাজিক মাধ্যমে কড়া নিয়ন্ত্রণ জারির প্রসঙ্গ। রবিবার এক ভার্চুয়াল ভাষণে তিনি জানান, সামাজিক মাধ্যমকে মূলত অর্ধ সত্য ও তথ্যের ভিত্তিতে চালান কিছু মানুষ। যারা আইনের শাসন, প্রমাণাদি, বিচার প্রক্রিয়া ও তাঁর সীমাবদ্ধতা সম্পর্কে অবগত নন।
তাঁর আরও যুক্তি, বিচার করার দায়িত্ব আদালতের, সামাজিক মাধ্যমে বিচার হওয়া বিচারব্যবস্থায় হস্তক্ষেপ। এটা আরও বিপজ্জনক হয়ে ওঠে যখন অর্ধ সত্যের ভিত্তিতে করা মন্তব্য সমস্ত রকম লক্ষনরেখাকে অতিক্রম করে যায়। পারদিওয়ালার যুক্তি, বিচার ব্যবস্থা সবসময় তথ্য সমৃদ্ধ বিরোধিতা ও গঠনমূলক সমালোচনাকে গ্রহণ করেছে। কিন্তু ব্যক্তিগত আক্রমণকে কখনই সহ্য করা হবে না বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন তিনি। এনিয়ে সংবিধানের আইনের শাসনকে বজায় রাখতে সংবিধানের পরিধির মধ্যে সোশ্যাল মিডিয়াকে নিয়ন্ত্রণের প্রয়োজনীয়তার কথা বলেছেন তিনি।
প্রসঙ্গত, মুসলমানদের নবীকে নিয়ে মন্তব্য করে বিতর্কে জড়ান বিজেপি নেত্রী নূপুর শর্মা (Nupur Sharma)। তারপরই শীর্ষ আদালতের ভর্ৎসনার মুখে পড়তে হয় তাঁকে। গোটা দেশের সামনে ক্ষমা চাওয়ার কথা বলা হয় নূপুরকে। সেই শীর্ষ আদালতের সেই মন্তব্যের কারণে নেটদুনিয়ায় জনরোষের মুখে পড়তে হয় দুই বিচারপতিকে। সেই প্রসঙ্গেই রবিবার সরব হলেন বিচারপতি জেবি পারদিওয়ালা।