অনলাইন ডেস্ক: ফাইজারের ভ্যাকসিনের জরুরি ব্যবহারে ছাড়পত্র দিল আমেরিকা। মার্কিন ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন প্রধান গবেষক ডেনিস হিনটন জানিয়েছেন, করোনা সংক্রমণ রুখতে ফাইজার বায়এনটেকের করোনা ভ্যাকসিনের জরুরি ব্যবহারে আমি ছাড়পত্র দিচ্ছি। শুক্রবারই বিশেষজ্ঞদের দল আমেরিকায় ফাইজারের ভ্যাকসিন ব্যবহারে ছাড়পত্র দিয়ে দিয়েছিল।
বৃহস্পতিবার মার্কিন ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন এই ভ্যাকসিন নিয়ে বৈঠকে বসেছিল। ফাইজারের টিকা ১৬ বছর বা তার বেশি বয়সি নাগরিকদের জন্য কতটা নিরাপদ তা নিয়ে আলোচনা হয়। বিশেষজ্ঞ কমিটির ১৭ জন সদস্য ভ্যাকসিনটির জরুরি ব্যবহারে ছাড়পত্র দেওয়ার পক্ষে ভোট দিয়েছিলেন। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ইতিমধ্যেই ঘোষণা করে দিয়েছেন, ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই টিকাকরণ শুরু করে দেওয়া হবে।
ট্রাম্প সরকার সাতটি করোনা টিকার প্রস্তুতিতে সমর্থন করছে। এর মধ্যে চারটির তৃতীয় দফার ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল চলছে। ফাইজার এবং মডার্নার ভ্যাকসিন এই চারটির মধ্যে রয়েছে। এই দুই সংস্থাই ‘ইইউএ’ অর্থাৎ ‘এমার্জেন্সি ইউজ অথোরাইজেশন’ বা জরুরি ভিত্তিতে প্রয়োগে ছাড়পত্র চেয়েছিল। মার্কিন ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন ফাইজারকেই প্রথম ‘এমার্জেন্সি ইউজ অথোরাইজেশন’ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিল।
Breaking News: The FDA authorized Pfizer’s coronavirus vaccine for emergency use, clearing the way for millions of highly vulnerable Americans to get it within days. https://t.co/KuLNX8HhkV pic.twitter.com/LWCFjiegvY
— The New York Times (@nytimes) December 12, 2020
প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বলেছেন, আমাদের দেশ বিস্ময় ঘটিয়েছে। মাত্র ৯ মাসে আমরা করোনার ভ্যাকসিন তৈরি করে ফেলেছি। যা বিজ্ঞান তথা চিকিৎসাশাস্ত্রের ইতিহাসের অন্যতম বড় সাফল্য। চিন যে মহামারী শুরু করেছে, সেটা আমার শেষ করবই। এদিকে ফাইজার-বায়োএনটেক ভারতেও টিকার জরুরি ব্যবহারে ছাড়াপত্র চেয়ে আবেদন জানিয়েছে। তবে ডিডিসিআই এখনও টিকাটিতে ছাড়পত্র দেয়নি।
এদিকে আমেরিকার সদ্য নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন জানিয়েছেন, ফাইজার-বায়োএনটেক টিকা এই অন্ধকার সময়ে একটি উজ্জ্বল নক্ষত্রের ন্যায়। তিনি বিজ্ঞানী এবং গবেষকদের বলেছেন, যারা এই ভ্যাকসিন তৈরি করেছেন তাঁদের কাছে কৃতজ্ঞ। বাইডেন আরও জানান, এই কাজের জন্য তাঁরা একটি অভিজ্ঞ দলকে একত্রিত করছেন। প্রসঙ্গত, বাইডেন তাঁর প্রশাসনের প্রথম ১০০ দিনে ১০০ মিলিয়ন শট বিতরণ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
উল্লেখ্য, বুধবারই ব্রিটেন জানিয়েছিল, অ্যালার্জিক ২ জন স্বাস্থ্যকর্মীর টিকাতে প্রতিক্রিয়া হয়েছে। তারপরই নড়েচড়ে বসে মার্কিন সরকার। তড়িঘড়ি কমিটির হাতে দায়িত্ব তুলে দেওয়া হয়। সাময়িকভাবে স্থগিত হয়ে যায় অনুমতিপর্ব। কিন্তু ইতিমধ্যেই সব বাধা কাটিয়ে ব্রিটেন, কানাডা, বাহারিন ও সৌদি আরব ইতিমধ্যেই টিকাটিকে অনুমোদন দিয়েছে। বিশ্বে এটাই প্রথম কোনও টিকা যা তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়াল সম্পূর্ণ করেছে। রাশিয়া ও চিনে ব্যাপক মাত্রায় টিকাকরণ চলছে, তবে তারা এখনও তুলনামূলক ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল সম্পূর্ণ করেনি।