জলপাইগুড়ি: মাইকেল মধুসূদন দত্ত(Michael Madhusudan Dutt) স্মৃতি পুরস্কার পেলেন জলপাইগুড়ির বর্ষীয়ান কবি বিজয় দে। মধুসূদনের স্মৃতিতে এবারই প্রথম রাজ্যব্যাপী পুরস্কার ঘোষণার পর একমাত্র কবি হিসেবে বিজয় দে-কে আগামী ২৬ মে কলকাতা নিউটাউনের নজরুল তীর্থ ভবনে পুরস্কার প্রদান করা হবে। বর্তমানে মার্চেন্ট রোডে একটি আবাসনে থাকলেও শহরের পানপাড়াতে পৈতৃক বাড়ি ছিল কবি বিজয় দের। কবিতা লেখার টানে পাহাড়, সমতল ঘুরে বেড়াতেন। এই ভ্রমণ থেকেই নতুন কবিতা লেখার রসদ পেতেন। তাইতো তার কবিতার পরতে পরতে ডুয়ার্স, তরাইয়ের পাহাড়, নদী, বন-জঙ্গল, পশুপাখি, জনজীবন, জনজাতি, গ্রামবাংলা সবকিছুই ধরা পড়েছে। এছাড়াও বিশ্বায়ন, সমাজতান্ত্রিক ভাবনার উপাদান মেলে তার কবিতায়।
১৯৬৭-৬৮ সাল থেকে লিটল ম্যাগাজিন শুরু করেন। যদিও সেই সময় বাংলায় যুক্ত ফ্রন্ট সরকার, তার ওপর নকশাল আন্দোলন। কিছু পড়ে জরুরি অবস্থা। লিটল ম্যাগাজিন প্রকাশনা ছেড়ে সরাসরি কবিতায় ১৯৭০ থেকেই মনোনিবেশ করতে শুরু করেন। সাহিত্যিক দেবেশ রায়, শামসুল আনোয়ারের সংস্পর্শে এসে আরও বাড়তি অক্সিজেন পান। নিজে একজন বামপন্থী ঘরানার মানুষ। রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকের চাকরি থেকে অবসর নেওয়ার আগে পর্যন্ত বামপন্থী ট্রেড ইউনিয়ন করেছেন বিজয় দে। এর আগে বাংলা অ্যাকাডেমি থেকে ২০১৮ সালে সার্বিক কাব্য সাহিত্যের জন্য পেয়েছেন বিভাবতী বসু এবং তার আগে ১৯৯৮ সালে চারুচন্দ্র সান্যালের স্মৃতিতেও কলকাতার একটি সংস্থা থেকে পুরস্কৃত হয়েছিলেন। তবে মাইকেল মদুসূদন দত্তের স্মৃতিতে পুরস্কার পেয়ে খুশি বিজয়বাবু।