সাজাহান আলি, পতিরাম : অবৈধভাবে দোকানপাট খোলা, অকারণ জটলা করা, বাইক নিয়ে ঘোরাঘুরি, যত্রতত্র আড্ডা দেওয়ার মাধ্যমে লকডাউন অমান্য করার অভিযোগ আসছিল বার বার। শনিবার সন্ধ্যায় এবং রবিবার সকালে পুলিশ ও প্রশাসনের তরফে পতিরাম ও পার পতিরাম বাজার এলাকায় ব্যাপক অভিযান চালানো হল। অভিযানের নেতৃত্ব দেন ডিএসপি (সদর) ধীমান মিত্র, বালুরঘাটের মহকুমা শাসক বিশ্বরঞ্জন মুখার্জী, পতিরাম ফাঁড়ির ওসি দেবব্রত মিশ্র প্রমুখ। সঙ্গে ছিল বিরাট পুলিশ বাহিনী।
নিয়ম বহির্ভূতভাবে খোলা বেশ কিছু দোকানকে বন্ধ করেন আধিকারিকরা। ব্যবসায়ীদের হুঁশিয়ারি দিয়ে আধিকারিকরা জানান, লকডাউন চলাকালীন নিয়মভঙ্গ করে দোকানপাট খুললে এবং অবৈধভাবে মালপত্র বেচাকেনা করলে আইনগতভাবে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। পুলিশ, প্রশাসনের এমন আচমকা অভিযানে হতচকিত ব্যবসায়ীরা দ্রুত দোকান বন্ধ করে দেন।
রবিবার সকাল থেকেই পতিরাম চৌরঙ্গী, আমতলা, প্রণবপল্লী, কদমতলী, হাইস্কুল রোডে অকারণ ভিড় ভাঙতে ও নিয়ম বহির্ভূত দোকান বন্ধ করতে উদ্যোগ নেয় পুলিশ। ব্যবসায়ীদের কেউ কেউ দোকান থেকে বাড়িতে মালপত্র নিয়ে গিয়ে নিয়ম ভেঙ্গে খুচরো ক্রেতাদের নিয়ে ব্যবসা করার চেষ্টা করলে পুলিশ সেখানেও অভিযান চালিয়ে কারবার বন্ধ করে। পুলিশের লাগাতার অভিযানে তটস্থ মানুষজন দ্রুত বাড়ি ফিরে যান।
ডিএসপি (সদর) ধীমান মিত্র বলেন, পতিরাম, পার পতিরাম থেকে লকডাউন অমান্য না করার প্রচুর অভিযোগ আমরা পাচ্ছিলাম। পর পর দুইদিন পুলিশ ও প্রশাসনের অভিযান চালানোর পর ব্যবসায়ীদের হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে। এরপর নিয়মভঙ্গ করে দোকানপাট খুললে ও বাজারে অকারণ আড্ডা দিলে তাদের বিরুদ্ধে দ্রুত আইনমাফিক ব্যবস্থা নেওয়া হব। বালুরঘাটের মহকুমাশাসক বিশ্বরঞ্জন মুখার্জী সকলকে সতর্ক করে লকডাউন চলাকালীন বাড়িতে থাকার পরামর্শ দেন।
পতিরাম ফাঁড়ির ওসি দেবব্রত মিশ্র বলেন, প্রতিদিন পুলিশি অভিযানে ১০-১২টি করে অবৈধভাবে চলাচলকারী বাইক ধরে রেখে নিয়মভঙ্গ কারীদের সতর্ক করা হচ্ছে। রাস্তায় টহল দিচ্ছে পুলিশ ও সিভিক ভলান্টিয়ার। ফলে আগের তুলনায় পরিস্থিতি এখন অনেকটা ভালো।