হরিশ্চন্দ্রপুর: আর কয়েক মাস পরই পঞ্চায়েত নির্বাচন রাজ্যে। হাতে সময় মাত্র আর কয়েক মাস। তাই পঞ্চায়েত স্তরে নিজেদের সংগঠন মজবুত করতে উদ্যোগী হয়েছে সমস্ত দলই। নির্বাচনের আগে দলীয় কর্মীদের উদ্বুদ্ধ করতে ১৯ ডিসেম্বর হরিশ্চন্দ্রপুরে আসছেন বামেদের যুব আইকন মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়। ঠিক তার দুইদিন পর ২১ তারিখ আসছেন তৃণমূল যুব রাজ্য সভানেত্রী সায়নী ঘোষ। সভা সফল করতে প্রস্তুতি শুরু করেছে তৃণমূল-সিপিএম দুই পক্ষই।
সায়নী ঘোষের সভা উপলক্ষ্যে বৃহস্পতিবার হরিশ্চন্দ্রপুরে তৃণমূলের তরফে একটি প্রস্তুতি বৈঠকের আয়োজন করা হয়। উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী তাজমুল হোসেন, তৃণমূলের মালদা(Malda) জেলা সভাপতি আব্দুর রহিম বকসি, জেলা সাধারণ সম্পাদক বুলবুল খান, জম্মু রহমান, জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ মর্জিনা খাতুন সহ অন্যরা। পঞ্চায়েত ভোটের প্রাক্কালে নিজেদের যুব সংগঠনকে চাঙ্গা করতে চাইছে শাসকদল।
এদিন বিরোধীদের কটাক্ষ করে জেলা সভাপতি বলেন, ‘বর্ষাকালে যেমন ব্যাং বের হয় তেমনই নির্বাচনের আগে সিপিএম এবং কংগ্রেস বেরিয়েছে। সারা বছর মানুষের পাশে থাকে না তারা।’ আব্দুর রহিম বকসি আরও বলেন, ‘আমরা কারও পালটা সভা করতে যাচ্ছি না। আমাদের কর্মসূচি আগে থেকেই ঠিক থাকে। শুধু নির্বাচনের সময় নয়, আমরা সারা বছরই মানুষের পাশে থাকি। কংগ্রেস এবং সিপিএম নির্বাচনের জন্য এখন নাটক করছে। মানুষ তৃণমূলের পাশে আছে।’
যদিও তৃণমূলের জেলা সভাপতির এই বক্তব্য মানতে নারাজ সিপিএম। দলের রাজ্য কমিটির সদস্য জামিল ফিরদৌস বলেন, ‘তৃণমূলের ভীত নড়ে গিয়েছে। মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায় আসছেন, সেজন্য পালটা সভা করছে তৃণমূল। অভিনেতা-অভিনেত্রীদের দিয়ে ভিড় বাড়াতে চাইছে। তারপরও তৃণমূলের কর্মসূচিতে মানুষ থাকছে না।’ দুই যুবনেত্রীর হাইভোল্টেজ সভার আগে তৃণমূল-সিপিএম বাকযুদ্ধে রীতিমতো সরগরম হরিশ্চন্দ্রপুরের রাজনীতি।
আরও পড়ুনঃ সার্ভে করতে আইসিডিএস ও আশাকর্মীদের সঙ্গে গ্রামে ঘুরছেন বিডিও