মুরতুজ আলম, সামসী : মরা মহানন্দার ওপর গাইঘাটা কালভার্ট। এই কালভার্টে ওঠার রাস্তার বেশ খানিকটা অংশ ভেঙে উধাও হয়ে গিয়েছে। কালভার্টের অবস্থা এতটাই বিপজ্জনক, যেকোনও সময় বড় দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারে। এমনকি কালভার্টটি ভেঙেও পড়তে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন গ্রামবাসীরা। গ্রামবাসীদের অভিযোগ, পরিস্থিতির কথা জানলেও কোনও হেলদোল নেই প্রশাসনের। এনিয়ে ক্ষোভ বাড়ছে এলাকায়। রতুয়া-২ ব্লকের শ্রীপুর-১ গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় মরা মহানন্দা নদীর ওপর এই কালভার্টটিতে ফাটলও ধরা পড়েছে। পরিস্থিতি এতটাই খারাপ যে বছরখানেক ধরে ভারী যান চলাচল বন্ধ হয়ে রয়েছে। ফলে বিপাকে পড়েছেন পাঁচটি গ্রামের মানুষ।
প্রায় ৩২ বছর আগে বাম আমলে ছোট আস্কাপাড়া ও পলাশতলা গ্রামের মাঝে মরা মহানন্দায় গাইঘাটা কালভার্টটি তৈরি করা হয়েছিল। এই কালভার্ট দিয়ে পলাশতলা, ছোট আস্কাপাড়া, বড় আস্কাপাড়া, লস্করপুর, খেড়িয়া, কাতলামারি গ্রামের মানুষ প্রতিদিন জীবন হাতে নিয়ে যাতায়াত করেন। স্থানীয় বাসিন্দা হবিবুর রহমান বলেন, বর্তমানে ওই কালভার্টের ওপর দিয়ে ভারী যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে। সাইকেল, মোটর সাইকেলই চলে কোনওরকমে। ট্যাক্সি, অ্যাম্বুল্যান্স, ট্র্যাক্টর, লরি চলাচল বন্ধ হয়ে গিয়েছে প্রায় বছরখানেক আগেই। অ্যাম্বুল্যান্স না চলায় ব্যাহত হচ্ছে স্বাস্থ্য পরিষেবা। রোগীদের ঘুরপথে স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যেতে হয়। ফলে অনেক দেরি হয়ে যায়। পলাশতলার বাসিন্দা নাজির ঘোষ বলেন, কালভার্টটির বেহাল দশার কারণে সবজি ব্যবসায়ী, ধান ও পাটচাষিরা চরমভাবে মার খাচ্ছেন। মাঠের ফসল বাড়িতে বা বাজারে নিয়ে যেতে কালঘাম ছুটে যাচ্ছে গরিব চাষিদের। এলাকার বাসিন্দারা জানান, গাইঘাটা কালভার্টটি নতুন করে তৈরির জন্য পঞ্চায়েত প্রধান, বিডিও, এসডিও, ডিএম সহ এলাকার বিধায়ক, সাংসদ সকলকেই একাধিকবার জানানো হয়েছে। কিন্তু প্রশাসন নির্বিকার।
স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্য নাজেরা খাতুনও গাইঘাটা কালভার্টের বেহাল অবস্থার কথা স্বীকার করে নিয়েছেন। তিনি বলেন, কালভার্টটি নতুন করে তৈরির জন্য বিষয়টি প্রধানকে বলা হয়েছে। শ্রীপুর-১ গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান রোশনারাকে এ বিষয়ে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বলেন, গাইঘাটা কালভার্টটি নতুন করে তৈরির জন্য প্রায় পাঁচ লক্ষ টাকার প্রকল্প তৈরি করে বিডিও মারফত জেলা পরিষদে পাঠানো হয়েছে। অনুমোদন মিললে খুব শীঘ্রই কাজ চালু করা হবে।