রাঙ্গালিবাজনা: রাত পাহারা দিয়ে ঠেকানো গিয়েছে হাতির হানা। তার ওপর আবহাওয়াও ছিল অনুকূল। ফলে বেড়েছে আলুর উৎপাদন। আকারে অনেক বড় হয়েছে আলু। এমনকি কারও কারও খেতে এক একটি আলুর ওজন ৯০০ গ্রাম পর্যন্ত হয়েছে। চলতি বছর আলুর দাম বেশ ভালো। ফলে মাদারিহাটের ইসলামাবাদ গ্রামের আলুচাষিদের মুখে হাসি ফুটেছে।
আলুচাষিরা জানান, এবার ঠান্ডা পড়লেও তা দীর্ঘস্থায়ী ও আলুর পক্ষে ক্ষতিকারক হয়নি। সবচেয়ে বড় কথা, আলু তোলার সময় হয়ে আসার আগে এক পশলা বৃষ্টি হয়েছিল। ফলে ফের সতেজ হয়েছিল গাছগুলি। সাধারণত, বীজ বোনার ৯০ দিনের মধ্যে আলু তুলতে হয়। কিন্তু এবার মরশুমের শেষে এক পশলা বৃষ্টি হওয়ায় ১০০ দিনের বেশি মাঠে রাখা গিয়েছিল আলু। ফলে আকার বড় হয়েছে। বিঘা প্রতি যেখানে গড়পড়তা ৪৫ কুইন্টাল আলু মেলে সেখানে গড়পড়তা ৬০ কুইন্টাল আলু পেয়েছেন অনেকেই।
ওই গ্রামের পূর্ব অংশে অবশ্য বরাবরই আলুর চাষ হয়। কিন্তু পশ্চিমাংশে আলুর চাষে এতদিন বিশেষ উৎসাহ ছিল না জমির মালিকদের। ওই এলাকায় এ বছর ধূপগুড়ির ঝালটিয়া গ্রামের দুই ভাই জাহাঙ্গীর আলম ওরফে ফেরদৌস এবং তাঁর ভাই ফিরোজ আলম প্রায় ৮০ বিঘা জমি লিজ নিয়ে আলু চাষ করে লাভের মুখ দেখেছেন। একটি মরশুমের জন্য বিঘা প্রতি জমি দেড় হাজার থেকে তিন হাজার টাকাতেই লিজ পেয়েছেন তাঁরা। জমির মালিকরা জানান, তাঁদের মধ্যে অনেকেই পেশাদার কৃষক নন। আলু চাষ করার অভিজ্ঞতা নেই। অনেকের প্রয়োজনীয় মূলধন নেই। এ বছর আলুর দাম ভালো। তাই আগামী মরশুমে নিজেরাই নিজেদের জমিতে আলু চাষ করতে পারেন কিনা, তা নিয়ে চিন্তা ভাবনা শুরু করেছেন পশ্চিমাংশের অনেকেই।