রায়গঞ্জ: রায়গঞ্জের কুমোরটুলিতে গেলেই শোনা যায় নতুন করে মৃৎশিল্পী তৈরি হচ্ছে না। শিক্ষিত ছাত্র-যুব সমাজ মৃৎশিল্পের দিকে ঝুঁকছে না। ফলে মৃৎশিল্পীর আকাল দেখা দিয়েছে। অনেক ক্ষেত্রে শিল্পীর অভাবে প্রতিমার বরাত হাতছাড়া হচ্ছে। অনেকে আবার প্রতিমার বরাত নেওয়ার পর দুর্গা বা কালীপূজার সময় বাইরে থেকে শিল্পীদের নিয়ে আসছেন। তাই আগামীতে কুমোরটুলিতে নতুন নতুন মৃৎশিল্পী গড়ে তোলার উদ্যোগ নিয়েছেন রায়গঞ্জের একটি বেসরকারি সংস্থা। তাদের সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন রায়গঞ্জের বিশিষ্ট মৃৎশিল্পী ও ভাস্কর ভানু পাল। তাঁর সামাজিক দায়বদ্ধতায় রায়গঞ্জের একটি অনাথ আশ্রমের আবাসিক শিশু-কিশোরদের জন্য ১৭ এপ্রিল থেকে শুরু হয়েছে মৃৎশিল্প ও ভাস্কর্যের তিন মাসের অবৈতনিক কর্মশালা। প্রতি শনিবার করে এই কর্মশালা হচ্ছে। অনাথ আশ্রমের শিশুরা যাতে আগামীতে মৃৎশিল্পী হিসেবে নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করতে পারে সেজন্য এই উদ্যোগ নিয়েছে সংস্থাটি। শিল্পী ভানু পাল জানান, নতুন প্রজন্মকে এই শিল্পের প্রতি আগ্রহী করে না তুললে আগামীতে এই শিল্পের করুণ অবস্থা হবে। শিল্পীর অভাবে শিল্পটাই থাকবে না। সেই কারণেই এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
সংস্থার যুগ্ম সহ-সভাপতি ডক্টর অনিন্দ্য ব্রহ্ম বলেন, ‘আগামীতে এই অনাথ আশ্রমের শিশুরা শিল্পী হয়ে উঠলে কুমোরটুলি যেমন লাভবান হবে, তেমনি তারাও স্বাবলম্বী হয়ে উঠবে। এই শিল্পে কাজ প্রচুর, কিন্তু শিল্পীর অভাব।‘ অনাথ আশ্রমের আবাসিক প্রায় ৩০ জন প্রশিক্ষণ নিচ্ছে কর্মশালায়। আশ্রমের অধ্যক্ষ প্রদীপ সিনহা জানান, হাতে কলমে নিয়মিত প্রশিক্ষণ দিলে আগামীতে বড় শিল্পী হতে পারবে তারা। প্রত্যেকে মনোযোগ সহকারে প্রশিক্ষণ নিচ্ছে।