নয়াদিল্লি: কৃষি আইন নিয়ে উত্তপ্ত পরিস্থিতির মধ্যেই সংসদে শুরু হল বাজেট অধিবেশন। শুক্রবার বাজেট অধিবেশনের মধ্যেই কৃষি আইন প্রসঙ্গ উঠে আসে। সংসদে বক্তব্য রাখতে গিয়ে রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ জানান, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মেনে সরকার কৃষি আইন আপাতত স্থগিত রেখে বিভ্রান্তি কাটাবে। একইসঙ্গে লালকেল্লায় কৃষকদের আচরণের নিন্দা করে রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘প্রজাতন্ত্র দিবসে লালকেল্লায় যা ঘটেছে তা নিন্দনীয়। প্রজাতন্ত্র দিবসের দিনই অপমানিত হয়েছে আমাদের জাতীয় পতাকা।’ কৃষকদের আয় বাড়ানোর লক্ষ্যেই সরকার কাজ করছে। প্রজাতন্ত্র দিবসে কৃষকদের আচরণ দুর্ভাগ্যজনক বলে জানিয়েছেন তিনি।
কৃষি আইন প্রসঙ্গে রাষ্ট্রপতি বলেন, দেশের প্রান্তিক কৃষকদের কথা ভেবে সরকার নতুন তিনটি কৃষি আইন এনেছে। এই আইন ঐতিহাসিক। কৃষি আইন ছাড়াও করোনা পরিস্থিতি প্রসঙ্গে তিনি জানান, একজোট হয়ে করোনা পরিস্থিতির মোকাবিলা করেছে গোটা দেশ। বিশ্বের সবচেয়ে বড় টিকাকরণ কর্মসূচি চলছে ভারতে। অতিমারির মাঝেও অর্থনীতিকে চাঙ্গা করতে সক্ষম হয়েছে ভারত। মোদি সরকারের আত্মনির্ভর ভারতের কথা উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি জানান, করোনা পরিস্থিতিতেই আত্মনির্ভর ভারতের গুরুত্ব আরও বেশি বোঝা গিয়েছে। এর মাঝেই গালওয়ান উপত্যকায় মোতায়েন সেনাদের প্রশংসা করেন রাষ্ট্রপতি। বক্তব্যের শুরুতেই করোনা মহামারিতে প্রাণ হারানো মানুষদের শ্রদ্ধা জানিয়েছেন তিনি। এদিন আর্থিক সমীক্ষা রিপোর্ট পেশ করবেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন।
In this fight against the pandemic, we lost many citizens. Former President Pranab Mukherjee passed away in this Corona period. Six MPs left us untimely due to COVID. I pay my tribute to all of them: President Ram Nath Kovind, in Parliament#BudgetSession pic.twitter.com/F7TWKgk1Vk
— ANI (@ANI) January 29, 2021
প্রসঙ্গত, বাজেট অধিবেশনের প্রথমদিন থেকে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে রণংদেহি অবস্থানে রয়েছে বিরোধী শিবির। সংসদে প্রধান বিরোধীদল রূপে কংগ্রেসের নেতৃত্বে সেন্ট্রাল হলে যৌথ কক্ষের উপস্থিতিতে রাষ্ট্রপতির ভাষণ বয়কট করবে বলে জানিয়ে দেয় ১৬ রাজনৈতিক দল। কেন্দ্রীয় কৃষি আইনের বিরোধিতায় রাষ্ট্রপতির ভাষণ বয়কট করার সিদ্ধান্ত নেয় কংগ্রেস, তৃণমূল কংগ্রেস, ডিএমকে, সপা, বাম, শিবসেনা, আরজেডি সহ একাধিক দল। শীর্ষ কংগ্রেস নেতা গুলাম নবি আজাদ বলেন, কৃষি আইনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়ে এই সিদ্ধান্ত। বাজেট অধিবেশনের শুরুতে কৃষি আইনের বিরোধিতায় রাষ্ট্রপতির ভাষণ বয়কট করে কেন্দ্রীয় সরকারকে কড়া বার্তা পাঠাতে চায় বিরোধীরা, এমনটাই মনে করছে পর্যবেক্ষক মহলের একাংশ।