ফালাকাটা: অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের পাকা ঘর রয়েছে। কিন্তু পানীয় জলের ব্যবস্থা নেই। ঘরের ভেতরে ফ্যান, লাইট লাগানো আছে। কিন্তু বিদ্যুৎ সংযোগ নেই। এসব বেহাল পরিকাঠামো নিয়ে শনিবার সকালে বিক্ষোভে শামিল হলেন অভিভাবকরা। ফালাকাটা (Falakata) -২ গ্রাম পঞ্চায়েতের রাইচেঙ্গা এলাকার ঘটনা। ওই এলাকার ৩৩৪ নম্বর অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে এদিন অভিভাবকরা জড়ো হয়ে বিক্ষোভ দেখান। তাঁদের বক্তব্য, অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রটি ২০১৫ সালে তৈরি হয়। ফালাকাটা পঞ্চায়েত সমিতির তরফে প্রায় ৬ লক্ষ ৬৭ হাজার টাকায় তৈরি করা হয় পাকা ঘর। তখন জলের বেসিন, পাইপ, মোটর, জলের ট্যাংকও বসানো হয়। লাগানো হয় ফ্যান, লাইট। কিন্তু বিদ্যুৎ সংযোগ না থাকায় সব কিছুই এখন অকেজো হয়ে রয়েছে। রাইচেঙ্গা-কালীপুর রাস্তার পাশেই অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রটি। রাস্তার ধারে পিএইচই-র ট্যাপকল রয়েছে। কিন্তু সেই ট্যাপকলেও জল পড়ে না। তাই শিশুদের নিয়ে এসে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে অভিভাবকদের। এছাড়া ওই অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের ইনচার্জ ৭ মাস আগে বদলি হয়েছেন। বর্তমান ইনচার্জ বাবলি বর্মন সপ্তাহে তিনদিন আসেন। কারণ, তিনি অন্য একটি অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে কর্মরত। আর রাইচেঙ্গার অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রর হেল্পার নমিতা বর্মন অবশ্য রোজ আসেন। তাঁকেও আশপাশের বাড়ি থেকে জল নিয়ে এসে রান্নার কাজ করতে হয়। তবে স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্য পম্পি সরকার রায় জানান, ওই অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে একটি টিউবওয়েল বসানো হবে। ফালাকাটার ভারপ্রাপ্ত সিডিপিও(চাইল্ড ডেভেলপমেন্ট প্রোজেক্ট অফিসার) নাসিরুল আমিন বলেন, ‘অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়ার সরকারি নির্দেশিকা নেই৷ ওখানে সোলার ব্যবস্থা হতে পারে। আর পানীয় জলের বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’
আরও পড়ুন: Rath Yatra | রথের দিন রীতি মেনে খুঁটিপুজো আলিপুরদুয়ারে