লখনউ: কনভয় আটকেও রাহুল গান্ধি ও প্রিয়ঙ্কা গান্ধির হাথরসের নির্যাতিতার বাড়ি যাওয়ার সিদ্ধান্ত বদলাতে পারেনি উত্তরপ্রদেশ পুলিশ। হাথরসের ১৪২ কিলোমিটার আগে কনভয় আটকে দিলে রাহুল ও প্রিয়ঙ্কা গাড়ি থেকে নেমে হাঁটতে থাকেন। এরপর দু’জনকেই যমুনা এক্সপ্রেসওয়ে গ্রেপ্তার করে উত্তরপ্রদেশ পুলিশ। ভারতীয় দণ্ডবিধির ১৮৮ ধারায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে ইউপি প্রশাসন সূত্রে খবর। এদিকে রাহুল অভিযোগ করেন, তাঁকে পুলিশ ধাক্কা দিয়ে মাটিতে ফেলে দিয়েছে। লাঠিচার্জও করেছে। ঘটনায় রাহুল গান্ধি চোট পেয়েছেন।
উত্তরপ্রদেশ পুলিশের এক আধিকারিক জানান, রাহুল-প্রিয়ঙ্কাকে গ্রেপ্তার করে কোনও এক গ্রেস্ট হাউসে নিয়ে যাওয়া হবে। সেখান থেকেই তাদের ফেরৎ পাঠানো হবে। এদিকে রাহুল-প্রিয়ঙ্কাকে গ্রেপ্তারের পর কংগ্রেসকর্মীরা যমুনা এক্সপ্রেসওয়েতে বসে পড়েন। কারণ, রাহুল-প্রিয়ঙ্কাকে গ্রেপ্তারের পর তাদের আর এগোতে দেওয়া হয়নি। অবস্থানকারী কংগ্রেসকর্মীদের দাবি, রাহুল-প্রিয়ঙ্কা মুক্ত না করলে তারা অবস্থান থেকে উঠবেন না। কেউ কেউ আবার রাহুল –প্রিয়ঙ্কার মতো তাদের গ্রেপ্তারের দাবি কথা বলেন। খবর লেখা পর্যন্ত, যমুনা এক্সপ্রেসওয়েতে কংগ্রেসকর্মীরা অবস্থানে আছেন।
ঘটনার বিবরণে জানা গিয়েছে, গ্রেপ্তারের সময় রাহুল গান্ধি উত্তরপ্রদেশ পুলিশের কাছে বারে বারে জানতে চান কেন তাদের গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। এই প্রশ্নের উত্তরে ইউপি পুলিশ জানায়, ১৪৪ ধারা উপেক্ষা করায় গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। এরপরেই রাহুল গান্ধি পাল্টা বলেন, ১৪৪ ধারা জারি থাকলে আমি একা যেতে চাই। যাচ্ছি। যে কোনও ভাবেই হাথরসে আমাকে যেতেই হবে। এরকম ভাবে কথাকাটাকাটির মধ্যেই দু’জনকে গ্রেপ্তার করে সাদা গাড়িতে করে নিয়ে যাওয়া হয়।