রায়গঞ্জ: করোনার (CORONA) কোপ পড়েছিল রায়গঞ্জের কুমোরটুলিতেও। দুর্গা, লক্ষ্মী ও কালী প্রতিমার সেভাবে বরাত পাননি মৃৎশিল্পীরা। করোনার জেরে দীর্ঘ ১৮ মাসের বেশি সময় ধরে প্যাসেঞ্জার ট্রেন বন্ধ থাকায় অনেকেই ক্ষতির মুখে পড়েন। এবছর শুরুতেই রাধিকাপুর-কাটিহার প্যাসেঞ্জার ট্রেন চালু হওয়ায় রায়গঞ্জের কুমোরটুলিতে শিল্পীদের ব্যস্ততা এখন তুঙ্গে। কারণ ইতিমধ্যেই বিহার থেকে ক্রেতারা আসতে শুরু করেছেন প্রতিমা কিনতে। সেখানকার প্রতিমা ব্যবসায়ীরা ট্রেনে করে প্রতিমা নিয়ে যেতে শুরু করেছেন।
শিল্পীদের দাবি, বিহারে প্রতিমা গেলে অধিক দাম মেলে। প্রতি বছর রায়গঞ্জের কুমোরটুলির অর্ধেকের বেশি প্রতিমা যায় বিহারে। বারসই, কাটিহার, পূর্ণিয়া, পাটনা পর্যন্ত রায়গঞ্জের প্রতিমা নিয়ে যান পুজো উদ্যোক্তারা। কিন্ত গতবছর করোনা সংক্রমণের কারণে প্যাসেঞ্জার ট্রেন বন্ধ থাকায় বিহার থেকে ক্রেতারা আসতে পারেননি। পুজোর আগে এবছরও স্কুল, কলেজ বন্ধ থাকায় রায়গঞ্জ সহ আশেপাশের এলাকায় সেভাবে প্রতিমার চাহিদা নেই। তাই প্যাসেঞ্জার ট্রেন চালু হওয়ায় লাভের মুখ দেখতে পারবেন বলে কিছুটা স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলছেন মৃৎশিল্পীরা। প্রতিবছরই সরস্বতী পুজোর একমাস আগে থেকে কাঞ্চনপল্লীতে মৃৎশিল্পীদের ব্যস্ততা চোখে পড়ে। এবছর স্কুল, কলেজ, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় কিছুটা ব্যতিক্রম দেখা দিলেও শেষপর্যন্ত বরাত আসে কিনা সে আশায় রয়েছেন তাঁরা।
আরও পড়ুন : ফুটবল খেলায় ছাত্রীদের উৎসাহ বাড়াতে প্রীতি ফুটবল ম্যাচে সাংসদ