বিশ্বজিৎ সরকার, রায়গঞ্জ: সামাজিক রীতি ভাঙার সাক্ষী থাকল রায়গঞ্জ শহর। মান্ধাতা আমলের প্রথা ভেঙে অব্রাহ্মণ মহিলা পুরোহিত বিয়ে দিলেন এক শিক্ষিত পশু চিকিৎসক পাত্র ও শিক্ষিতা রেলের উচ্চপদস্থ অফিসার পাত্রীকে। পাত্রীর নাম ঋতুপর্ণা রায়। তিনি রেলের উচ্চপদস্থ অফিসার। বাড়ি রায়গঞ্জ শহরের বীরনগর এলাকায়। পাত্রের নাম রাজ দে। তিনি পেশায় একজন পশু চিকিৎসক। বাড়ি উত্তর দিনাজপুর জেলার হেমতাবাদে।

পুরোহিত সুনীতি মণ্ডল নিজে নমঃশূদ্র হলেও নিখুঁত সংস্কৃত মন্ত্র উচ্চারণে করেই বিয়ের যাবতীয় আচার সম্পন্ন করেছেন। সকলেই তাঁকে এই কাজে উৎসাহ যুগিয়েছেন। পাত্রী তো বটেই পাত্রের পরিবারের পক্ষ থেকেও যথেষ্ট সন্তোষ প্রকাশ করা হয় তাঁর কাজে। ব্যতিক্রমী এই বিয়ে দেখতে পাত্রী এবং পাত্রপক্ষের আত্মীয়-স্বজন এবং পাড়া-প্রতিবেশীদের ভিড় উপচে পড়ে রায়গঞ্জ শহরের ২০ নম্বর ওয়ার্ডের রায়গঞ্জ পৌরসভার বিবাহ অনুষ্ঠান ভবনে। এই ধরনের এক বিরল বিবাহের অংশ হতে পেরে গর্বিত বোধ করছেন নবদম্পতিও।

তাঁদের দুজনেরই বক্তব্য, জাতপাত এসবের বড়াই করার কোনও মানে নেই। যার যোগ্যতা আছে সে যোগ্যতা অনুযায়ী যে কোন পেশায় নিজেকে যুক্ত করতে পারেন গঙ্গারামপুরের বাসিন্দা সুনীতি মণ্ডল সংস্কৃতিতে এমএ করে কলকাতা হাওড়া থেকে পুরোহিতের প্রশিক্ষণ নিয়েছেন। বিবাহ ছাড়াও পুজোর কাজও জানেন।তবে বিয়ের কাজ এই প্রথম। পাত্রীর এক আত্মীয় প্রস্তাব দিয়েছিলেন। সব শুনে পাত্রীপক্ষ আর না করেননি। সোমবার ভোররাতে সব নিয়ম মেনেই বিয়ের অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়।