শিলিগুড়ি : করোনা উপসর্গ নিয়ে রবিবার সকালে উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে শিলিগুড়ির প্রধাননগরের বাসিন্দা এক রেলকর্মীর মৃত্যু হয়। এবার ওই ব্যক্তির সংস্পর্শে আসা সকলকে কোয়ারান্টিনে থাকার নির্দেশ দিল রেল। এদিন উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলের কাটিহার ডিভিশনের ডিআরএমের অফিসের তরফে এই নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। যদিও করোনার জেরেই ওই ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে কিনা, তা এখনও স্বাস্থ্যভবন বা রাজ্য সরকারের তরফে ঘোষণা করা হয়নি।
উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল সূত্রে খবর, ৫৩ বছর বয়সী ওই ব্যক্তি জ্বর, কাশি এবং শ্বাসকষ্ট নিয়ে ২৬ মার্চ মেডিকেলে ভর্তি হয়েছিলেন৷ শনিবার তাঁর লালারসের নমুনা পরীক্ষা করা হয়৷ সেখানেই পজিটিভ ধরা পড়ে৷ রবিবার সকালেই তাঁর মৃত্যু হয়৷ তবে, করোনার জেরেই তাঁর মৃত্যু কি না, তা এখনও সরকারিভাবে স্পষ্ট করে জানানো হয়নি৷
প্রসঙ্গত, গত সোমবার উত্তরবঙ্গ মেডিকেলে ভর্তি এক মহিলার মৃত্যু হয়৷ কালিম্পংয়ের ওই মহিলা গত সোমবার ভোর রাতে উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে মারা যান। তার পরেই তাঁর বাড়ির অন্য সদস্য, পরিচারিকা এবং অন্যান্যভাবে যারা তাঁর সংস্পর্শে এসেছিলেন তাঁদের কালিম্পং এবং জলপাইগুড়ির রানিনগর কোয়ারান্টিনে নিয়ে যাওয়া হয়। এই মহিলার পরিবারের আরও ছ’জনের শরীরেও করোনা ভাইরাসের সন্ধান পাওয়া গিয়েছে৷ শনিবার সেই কথা সরকারিভাবে স্বীকারও করা হয়েছে৷
সূত্রের খবর, প্রধাননগরের মৃত ব্যক্তিকে জ্বর, কাশি এবং শ্বাসকষ্টের সমস্যা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়৷ করোনা উপসর্গ থাকার কারণে তাঁর লালারসের নমুনা পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়৷ কিন্তু সেই রিপোর্ট নেগেটিভ আসে৷ কিন্তু তাঁর শারীরিক অবস্থা খারাপ থাকার জন্য হাসপাতালে থেকে ছাড়া হয়নি৷ বরং তাঁকে মেডিকেলের আইসোলেশন ওয়ার্ডে স্থানান্তরিত করা হয়৷ আইসোলেশন ওয়ার্ডে তাকে রাখা হয়েছিল উত্তরবঙ্গে করোনায় প্রথম মৃত কালিম্পংয়ের সেই মহিলার পাশের বেডেই৷ এরপর শনিবার ফের তার লালারসের নমুনা পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়৷ তাতে পজিটিভ ধরা পরে৷ আর রবিবার সকালেই তাঁর মৃত্যু হয়৷