রাজগঞ্জ: সমাজকে বার্তা দিতে নিজের মেয়েকে অন্যরকমভাবে বিয়ে দিলেন শিলিগুড়ির (Siliguri) হায়দারপাড়ার অমলকুমার সাহাচৌধুরী। মহিলা পুরোহিত দিয়ে বিয়ে দেওয়ার পাশাপাশি দুঃস্থদের মধ্যে কম্বল বিতরণ এবং পদ্মশ্রী করিমুল হকের হাতে কিছু আর্থিক সাহায্যও তুলে দেন। অনুষ্ঠানে পদ্মশ্রী করিমুল হক ছাড়াও পরিবেশপ্রেমী অনিমেষ বসু, সমাজকর্মী অজয় ট্যান্ডন সহ সামাজের বিশিষ্ট ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন। অমলবাবুর এই উদ্যোগকে সকলেই সাধুবাদ জানান।
জানা গিয়েছে, হায়দারপাড়ার অমলকুমার সাহাচৌধুরী একজন ব্যবসায়ী। তাঁর স্ত্রী ছাড়াও দুই মেয়ে ও এক ছেলে রয়েছে। বড় মেয়ে প্রিয়াঙ্কা (৩৪) সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার। বাকি এক ছেলে ও এক মেয়ে উচ্চশিক্ষিত। বৃহস্পতিবার রাতে কলকাতার বেলঘড়িয়ার সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার শৈবাল সাহার (৩৮) সঙ্গে তিনি বড় মেয়ের বিয়ে দেন। দু’জনই বেঙ্গালুরুতে কর্মরত। এদিন শিলিগুড়ির শহরতলির ফারাবাড়ি এলাকায় জঙ্গল ঘেরা এক রিসর্টে বিয়ের আয়োজন করা হয়। মহিলা পুরোহিতের সাহায্যে বৈদিক মতে বিয়ে দেওয়া হয়। পুরোহিত ছিলেন কলকাতার প্রফেসর দেবপ্রিয়া ঘোষাল। তাঁর সঙ্গে আসা তিন মহিলা সহযোগীর সাহায্যে নিয়ম-রীতি মেনে বিয়ের কাজ সম্পন্ন করা হয়।
অমল সাহাচৌধুরী বলেন, ‘মেয়ের ইচ্ছাতেই শহরের কোলাহল থেকে দূরে প্রকৃতির কোলে বিয়ের আয়োজন করা হয়। বিয়ে উপলক্ষ্যে অনেকেই অনেকভাবে টাকা খরচ করে থাকেন। তাই একটু অন্যরকম চিন্তাভাবনা করা হয়। শুধু মহিলা পুরোহিত দিয়ে বিয়ে দেওয়া নয়, ফারাবাড়ি ওয়েলফেয়ার সোসাইটির সহযোগিতায় এলাকার দুঃস্থদের তালিকা তৈরি করে ৬০ জনের হাতে কম্বল তুলে দেওয়া হয়। পাশাপাশি পদ্মশ্রী করিমুল হকের সমাজসেবায় সহযোগিতা করার জন্য কিছু আর্থিক সাহায্য করা হয়।’ পদ্মশ্রী করিমুল হক বলেন, ‘অমলবাবু মেয়ের বিয়েতে যে সমাজসেবা করলেন তা প্রশংসার দাবি রাখে।’ একই বক্তব্য পরিবেশ পরিবেশপ্রেমী অনিমেষ বসুরও।
আরও পড়ুন : জমি দখলমুক্ত করল বনদপ্তর