রাঙ্গালিবাজনা: বছরের পর বছর বন্ধ আলিপুরদুয়ার (Alipuduar) জেলার মাদারিহাটের রবীন্দ্র-ভানু শিশু উদ্যান। বামফ্রন্ট সরকারের আমলে আলিপুরদুয়ারের তৎকালীন সাংসদ মনোহর তিরকি ও মাদারিহাটের বিধায়ক কুমারি কুজুরের এলাকা উন্নয়ন তহবিলের টাকায় তৈরি করা হয়েছিল উদ্যানটি। মাদারিহাট বীরপাড়া পঞ্চায়েত সমিতি সূত্রের খবর, উদ্যান দেখভালের কোনও কর্মী নেই। বিগত সরকারের আমলে স্বনির্ভর গোষ্ঠীকে উদ্যান পরিচালনার দায়িত্ব দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু ওই চেষ্টা ফলপ্রসূ হয়নি। তাই একপ্রকার পরিত্যক্ত হয়েছে উদ্যানটি।
এদিকে, দেখভালের অভাবে ঝোপঝাড় গজিয়েছে উদ্যানটিতে। শিশুদের জন্য খেলার নানা উপকরণ ছিল সেখানে। সেগুলি ভেঙেচুরে গিয়েছে। এখনও রয়েছে সিমেন্টের তৈরি একটি হাতি। ফাঁপা হাতিটির ভেতরে ঢোকা যায়। কিন্তু ভাঙাচোরা দেওয়াল দিয়ে উদ্যানে ঢুকে এখন চরে বেড়ায় গবাদি পশু। শিশুদের খেলার জন্য তৈরি করা হাতিটির ভেতর জঙ্গল, গবাদি পশুর মলমূত্রে ভর্তি। এর আগে হাইওয়েতে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে একাধিকবার গাড়ি ধাক্কা মারায় ভেঙে গিয়েছে সীমানা প্রাচীর। ভাঙা অংশগুলি স্থানীয়রা বাঁশ, গাছের ডাল এবং হাইওয়ের গার্ডরেইল ব্যবহার করে আটকে দিয়েছেন। তবু রাতের বেলা নেশাখোররা পাঁচিল টপকে ঢোকে পার্কের ভেতর, খবর স্থানীয় সূত্রের।
মাদারিহাটে জলদাপাড়ার টানে হাজার হাজার পর্যটকের ভিড় হয়। জলদাপাড়া টুরিস্ট লজ ছাড়াও মাদারিহাটের বেসরকারি হোটেল, লজ এবং রিসর্টগুলিতে অনেক পর্যটকই থাকেন। ডুয়ার্সের অন্যতম নামী পর্যটনকেন্দ্র মাদারিহাটের কেন্দ্রস্থলে উদ্যানটির বেহাল দশায় ভ্রু কুঁচকে যায় অনেক পর্যটকের।
অবশ্য পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি রোহিত বিশ্বকর্মা জানান, উদ্যানের হাল ফেরাতে পঞ্চায়েত সমিতির বৈঠকে আলোচনা করা হয়েছে। পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ রশিদুল আলম জানান, উদ্যানটি সাজিয়ে তোলার জন্য ফিফটিন ফিন্যান্স তহবিল থেকে টাকা খরচের পরিকল্পনা করা হয়েছে। টাকা পেলেই টেন্ডার প্রক্রিয়া করা হবে।
আরও পড়ুনঃ Alipurduar News | জেলা পরিষদের রাস্তায় ৩০ বছর ধরে বেহাল সেতু