দীপঙ্কর মিত্র, রায়গঞ্জ: লকডাউনে রায়গঞ্জের কুলিক নদী পাড়ে আটকে পড়েছেন বেশ কয়েকজন যাযাবর। বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে মূর্তি নির্মাণ করাই তাঁদের পেশা। তবে লকডাউনের জেরে তাঁদের তৈরি প্যারিসের মূর্তি বিক্রি করতে না পারায় দেখা দিয়েছে অর্থ সংকট। ফলে পরিবার নিয়ে এক মাসের বেশি সময় অর্ধাহারে দিন কাটছে তাঁদের। মাঝে মাঝে শিশু ও মহিলা মিলিয়ে প্রায় ৫০ জন যাযাবরকে স্থানীয় প্রসাশন, রাজনৈতিক দল থেকে শুরু করে বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা খাদ্যসামগ্রী সরবরাহ করছেন।
প্রতিবছর উত্তর দিনাজপুর জেলার বিভিন্ন এলাকায় আস্তানা গেড়ে প্যারিসের মূর্তি তৈরি করে পাড়ায় পাড়ায় ফেরি করেন। তাঁদের মধ্যে কিষাণ কুমার বলেন, ‘দু’মাস হতে গেল এখানেই আটকে আছি। তৈরি করা মূর্তিও বিক্রি করতে পারেনি। কতদিন এভাবে চলবে জানি না।’
মার্চ মাসের প্রথম সপ্তাহে রায়গঞ্জ শহর সংলগ্ন কুলিক নদীর পাড়ে একটি মাঠে আশ্রয় নেন ওই যাযাবররা। ত্রিপল টাঙিয়ে অস্থায়ী বাসস্থান গড়ে তোলেন। কিন্তু লকডাউন শুরু হতেই এলাকার বাজারঘাট সব বন্ধ হয়ে যায়। বিপাকে পড়েন তাঁরা। তাঁদের সাহায্যে এগিয়ে আসেন বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা, সিপিএমের রায়গঞ্জ শহর এরিয়া কমিটি এবং রায়গঞ্জ পুরসভা। নিয়মিত খাবার বিলি, আশ্রয়স্থলে বৈদ্যুতিক আলোর ব্যবস্থা করা হয়েছে।
রায়গঞ্জ পুরসভার কাউন্সিলার ইনচার্জ সাধন কুমার বর্মন বলেন, ‘রায়গঞ্জ পুরসভার উদ্যোগে অস্থায়ী বাসস্থানগুলিতে বৈদ্যুতিক সংযোগের ব্যবস্থা করা হয়েছে। সেইসঙ্গে নিয়মিত খাবার দেওয়া হচ্ছে।’