গয়েরকাটা: জলপাইগুড়ি (Jalpaiguri) জেলায় ছড়িয়ে ছটিয়ে রয়েছে অসংখ্য নদী। এই নদীগুলি একদিকে যেমন মানুষের জন্য উপকারী, তেমনি কোনও কোনও সময় এই নদীই হয়ে ওঠে আগ্রাসী। ফলে বিপন্ন হয় জনজীবন। যেমনটা হয়েছে জলপাইগুড়ির বানারহাট ব্লকের সাঁকোয়াঝোরা ১ গ্রাম পঞ্চায়েতের নেপালি বস্তিতে। নদী ভাঙনে ঘুম উড়েছে প্রায় ৭০টি পরিবারের। কারণ এই বস্তি ঘেষেই বয়ে গিয়েছে আংরাভাসা নদী। সারাবছর শান্ত থাকা এই নদী ভুটান পাহাড় ও সমতলে ভারী বৃষ্টি হলেই ফুলে ফেঁপে ওঠে। আর জল নেমে যাওয়ার পর শুরু হয় ভাঙন। আগে এই বস্তি থেকে অনেকটাই দূরে ছিল নদী। কিন্তু ভাঙনের জেরে এখন বস্তির একদম কাছে এসে গিয়েছে। ইতিমধ্যেই প্রায় ১৫ বিঘা কৃষিজমি তলিয়ে গিয়েছে নদীতে।
গতবছর বর্ষার মরশুমে তিনটি বাড়ি তলিয়ে যায় ভাঙনে। এইবছরও একটি বাড়ি ভাঙনের গ্রাসে গিয়েছে। আতঙ্কে বাড়িছাড়া হয়ে আশ্রয় নিয়েছেন গোয়ালঘরে বাসিন্দারা। আবার অনেকেই অন্যত্র চলে যেতে বাধ্য হয়েছেন। কৃষি জমি চলে যাওয়ায় অনেকেই বাধ্য হয়ে পেশা বদলে দৈনিক শ্রমিকের কাজ করছেন। ভিটে বাঁচাতে দ্রুত বাঁধ নির্মাণের দাবিতে সবর হয়েছেন নেপালি বস্তির বাসিন্দারা।
স্থানীয়দের অভিযোগ, বাঁধের দাবিতে বহুবার স্থানীয় পঞ্চায়েত এবং ব্লক প্রশাসনের দারস্থ হয়েও কোনও সুরাহা হয়নি। সেচ দপ্তরের বানারহাট সাব ডিভিশনের আধিকারিক সুব্রত শূর বলেন, ‘নেপালি বস্তি এলাকায় বাঁধের ব্যাপারে প্ল্যান তৈরি করে তা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হয়েছে। সবুজ সংকেত মিললেই কাজ শুরু হবে।‘
আরও পড়ুন : মূর্তি নদীর ভাঙন রোধে স্থায়ী ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি বাসিন্দাদের