রাজগঞ্জ: রাজগঞ্জের সন্ন্যাসীকাটায় মেডিকেল বর্জ্যের শিল্প ইউনিট করার বিরোধিতায় দলমত নির্বিশেষে এককাট্টা হয়েছেন এলাকার বাসিন্দারা। বুধবার প্রশাসনের তরফে সন্ন্যাসীকাটা গ্রাম পঞ্চায়েত কার্যালয়ে ওই শিল্প ইউনিট নিয়ে এক গণশুনানি সভা করা হয়। সেখানে কয়েকশ বাসিন্দা বিক্ষোভ দেখান। তারা কোনওমতেই ওই এলাকায় মেডিকেল বর্জ্যের শিল্প ইউনিট করতে দেবেন না। ওই শিল্প ইউনিট রুখতে চরম আন্দোলনে নামার হুঁশিয়ারি দেন। অগত্যা প্রশাসনের আধিকারিকরা গণশুনানি বন্ধ করে চলে যান।
পশ্চিমবঙ্গ সরকারের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ দপ্তরের উদ্যোগে রাজগঞ্জের (Rajganj) সন্ন্যাসীকাটা গ্রাম পঞ্চায়েতের জমাদারগছ এলাকায় বায়ো মেডিকেল আবর্জনা প্রক্রিয়াকরণ করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। প্রায় ৫ বিঘা জমিতে এসএনজি এনভায়রোসলিউশন নামের একটি সংস্থা ওই শিল্প ইউনিট তৈরি করবে। প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে প্রায় ৬ কোটি টাকা। এদিন গণশুনানিতে প্রশাসনের তরফে বাসিন্দাদের জানানো হয়, ওই কারখানায় কীভাবে বর্জ্য প্রক্রিয়াকরণ করা হবে। স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রগুলি থেকে বর্জ্যগুলি প্যাকেট অবস্থায় আসবে। প্রক্রিয়াকরণের পর সুরক্ষিত অবস্থায় নিয়ে যাওয়া হবে। কারখানার ধোয়ায় কোনও ক্ষতি হবে না। পাশাপাশি ৪০ জনের কর্মসংস্থান হবে। কিন্তু তা মানতে রাজি নয় এদিন উপস্থিত কয়েকশো বাসিন্দা। পাশাপাশি কারখানা না করার জন্য প্রশাসনের কাছে লিখিতভাবে জানান।
বিক্ষোভকারীরা জানান, উত্তরবঙ্গের আটটি জেলার মেডিকেলের বর্জ্য, ব্যবহৃত সার্জিক্যালের সামগ্রী সহ মানুষের শরীরের বাদ দেওয়া অধিকাংশ এখানে এনে পোড়ানো হবে। কিন্তু এখানে ঘন জনবসতি রয়েছে। এছাড়া রয়েছে চাষের জমি। ফলে পরিবেশের ব্যাপক ক্ষতি হবে। তাই প্রাণ গেলেও ওই কারখানা করতে দেওয়া হবে না। জাতীয় সড়ক থেকে প্রায় ৮ কিলোমিটার দূরে গ্রাম্য এলাকায় ওই কারখানা করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। বর্জ্য বোঝাই গাড়িগুলি গ্রামের রাস্তা দিয়ে যেতে হবে। তাই অন্যত্র জনবসতিহীন জায়গায় কারখানা করা হোক। এডিএম(এলআর) রঞ্জন চক্রবর্তী বলেন, গ্রামবাসীরা নির্দিষ্ট জমিতে ওই শিল্প ইউনিট না করার জন্য লিখিতভাবে জানিয়েছেন। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানাবো।
আরও পড়ুন : প্রকৃত কৃষকদের বঞ্চনার অভিযোগ, বাতাসিতে ধান বিক্রয় কেন্দ্রে উত্তেজনা