চোপড়াঃ বর্ষায় ভরসা বলতে বাঁশের সাঁকো বা নৌকা। অন্য সময় বাসিন্দাদের পাশাপাশি স্কুল পড়ুয়াদের নদী পারাপার করতে হয় পায়ে হেটে জল পেড়িয়ে। নদীতে জল বেশ থাকলে সাইকেল ঘারে করে প্রাণ হাতে নদী পারাপার করেন গ্রামবাসীরা। এমনই অবস্থা চোপড়া(Chopra) ব্লকের মাঝিয়ালি গ্রাম পঞ্চায়েতের অধীন সুকলগছ এলাকায় বেরং নদীর। এই এলাকায় নদীর ওপর সেতু নির্মাণের দাবি দীর্ঘদিনের। বিভিন্ন মহলে জানিয়েও দাবি পূরণ হয়নি।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, প্রতিবছর ভারি বর্ষায় বেরং নদীর ওপর বাঁশের অস্থায়ী সাঁকো তলিয়ে যায়। তখন নদী পারাপারের ভরসা একমাত্র নৌকা। এই নদী পেড়িয়ে যাতায়াত করতে হয় চারঘরিয়া, ফাগুগছ, ধুলিয়াগছ গ্রামের কয়েক হাজার মানুষ। সুকলগছ এলাকায় সেতু না থাকায় বর্ষার সময় আড়াই কিলোমিটার ঘুরে যাতায়াত করতে হয়। তাই এবার শুখা মরসুমে এবার স্থানীয় গ্রামবাসীরাই একজোট হয়ে নদীর উপর অর্থমুভার দিয়ে বালি মাটির রাস্তা বানানোর উদ্যোগ নিয়েছেন। যাতে রাস্তা নির্মানের কারণে নদীর গতি অবরুদ্ধ না হয়, সেকারণে জল যাওয়ার জন্য হিউমপাইপ বসানো হচ্ছে। নদীর ওপর দিয়ে যাতায়াতের রাস্তা তৈরির খরচ নিজেরাই যুগিয়েছেন বলেও জানিয়েছেন গ্রামবাসীরা। স্থানীয় মাঝিয়ালি গ্রাম পঞ্চায়েত শহর বানু অবশ্য বলেন, নদীর উপর অস্থায়ী রাস্তা তৈরির বিষয়ে জানা নেই। এ ব্যাপারে খোঁজ নেওয়া হবে।