কামাখ্যাগুড়ি : কামাখ্যাগুড়ি-১ গ্রাম পঞ্চায়েতের ঘোড়ামারা চৌপথি থেকে মধ্য নারারথলি হয়ে খোয়ারডাঙ্গা-১ পঞ্চায়েতের শিশাবাড়ি পর্যন্ত প্রায় সাড়ে ১৩ কিলোমিটার রাস্তার কাজ বন্ধ হয়ে রয়েছে। গতবছর ডিসেম্বর মাসে বাংলা গ্রাম সড়ক যোজনার আওতায় রাস্তাটির নির্মাণকাজের সূচনা করেন আলিপুরদুযার জেলা পরিষদের সভাধিপতি শীলা দাসসরকার। এই রাস্তায় দৌড়মারা নদীর ওপর একটি সেতুর অবস্থাও দীর্ঘদিন ধরে বেহাল। রাস্তা ও সেতু সংস্কারের জন্য ৫ কোটি ২৭ লক্ষ টাকা বরাদ্দ হয়। লকডাউন শুরুর কয়েকদিন আগে কাজ শুরু হলেও লকডাউনের জেরে তা বন্ধ। এই রাস্তার মাঝে তিনটি জায়গায় কালভার্ট ভেঙে হিউম পাইপ বসানোর কাজ শুরু হয়েছিল। কিন্তু এখন রাস্তার ওপরই নির্মাণসামগ্রী, হিউমপাইপ পড়ে রয়েছে। পাশাপাশি, কালভার্ট ভেঙে ফেলায় জরুরি প্রয়োজনেও রাস্তাটি ব্যবহার করতে পারছেন না মধ্য নারারথলির বাসিন্দারা।
মধ্য নারারথলির বাসিন্দা অনিরুদ্ধ ঈশ্বরারী বলেন, ‘লকডাউন চললেও রেশন, ওষুধ, সবজি, মাছ, দুধ ইত্যাদির জন্য খোযারডাঙ্গায় যেতে হয়। কিন্তু রাস্তার কালভার্টগুলো ভেঙে রয়েছে। রাস্তায কাটা পাথর বসানো হয়েছে। ফলে খেতের আল দিয়ে যাতাযাত করতে বাধ্য হচ্ছেন বাসিন্দারা। বৃষ্টির জেরে সমস্যা আরও বাড়ছে।’ অন্য এক বাসিন্দা রহিম আলি বলেন, ‘আমার বাড়ির সামনেই রাস্তার একটি কালভার্ট ভেঙে হিউমপাইপ বসানোর কাজ শুরু হয়েছিল। জরুরি প্রয়োজনে খোয়াড়ডাঙ্গা যেতে হলেও অনেক ঘুরপথে যাতায়াত করতে হয়। বাইক, সাইকেল ছাড়া সেই পথে অন্য যানবাহন চলাচল সম্ভব নয়। এই পরিস্থিতিতে জরুরি স্বাস্থ্য পরিষেবার প্রয়োজন হলে অ্যাম্বুল্যান্স এলাকায় প্রবেশ করতে পারবে না। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের এ বিষয়ে নজর দেওয়া উচিত।’’
প্রবীণ বাসিন্দা চন্দ্র নার্জিনারি বলেন, লকডাউন চলছে। আমরা সমস্যা মেনে নিযে কষ্ট করে রয়েছি। কিন্তু জরুরি প্রযোজন হলে যাতে অ্যাম্বুল্যান্স, দমকলের গাড়ি প্রবেশ করতে পারে সেই ব্যবস্থা করা দরকার। কালভার্ট সংস্কার করে অন্ততপক্ষে রাস্তাটি চলাচলযোগ্য করে দিলেও আমাদের সুবিধা হবে।’
আলিপুরদুযার জেলা পরিষদের সভাধিপতি শীলা দাসসরকার বলেন, ‘লকডাউনের কারণে সমস্ত কাজ স্থগিত রয়েছে। সবারই সমস্যা হচ্ছে। কিন্তু লকডাউনের কারণে শ্রমিক দিযে কাজ করানো সম্ভব নয। নির্মাণসামগ্রী পৌঁছোনোও সম্ভব নয। পরবর্তী নির্দেশিকা পর্যন্ত আমাদের অপেক্ষা করতে হবে।’
ছবি- এই ভাঙা কালভার্ট নিয়েই সমস্যা।
তথ্য ও ছবি- অরিন্দম চক্রবর্তী