উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্ক: বিশ্বকাপের নকআউট ম্যাচে সুইৎজারল্যান্ডের বিরুদ্ধে রোনাল্ডোকে (Cristiano Ronaldo) বাদ দেওয়ার সাহস দেখিয়েছেন পর্তুগাল কোচ স্যান্টোস। রোনাল্ডোকে বাদ দেওয়ার কারন কি তা স্পষ্ট নয়। কেও কেও বলছেন ট্যাকটিক্যাল মুভ আবার কেও কেও মনে করছেন শৃঙ্খলাভঙ্গের শাস্তি। তবে এই ফুটবল তারকাকে যে সুইৎজারল্যান্ডের বিরুদ্ধে বসানো হচ্ছে তার আঁচ আগেই পাওয়া যাচ্ছিল। রোনাল্ডোকে রিজার্ভ বেঞ্চে বসিয়ে কোচ এটাই প্রমাণ করলেন তিনিই দলের শেষ কথা।
রোনাল্ডো ইস্যুতে মুখে কুলুপ এঁটেছেন স্যান্টোস। বিশ্বকাপের নকআউট ম্যাচে রোনাল্ডোকে বাদ দেওয়ার সাহস দেখান পর্তুগাল কোচ। ম্যাচ চলাকালীন একটি টুইট করে জেমি কারাগার বলেন, ‘দক্ষিণ কোরিয়া ম্যাচে তুলে নেওয়ার পর রোনাল্ডো যে আচরণ করেছিল শুধুমাত্র সেটার জন্য তাঁকে বসিয়ে দিয়েছে বলে মনে হয় না। সেটা ক্লাব ফুটবল হলে হতে পারত। কিন্তু এখানে আর তিনটে ম্যাচ জিতলেই বিশ্বকাপ। আমার ধারণা, পারফরমেন্সের জন্যই হয়তো বসানো হয়েছে রোনাল্ডোকে।’ এই প্রথমবার বিশ্বকাপে প্রথম একাদশ থেকে বাদ পড়লেন রোনাল্ডো। তবে তাতে কোনও ক্ষতি হয়নি পর্তুগালের। বরং লাভই হয়েছে। রোনাল্ডোর অনুপস্থিতিতে এক নতুন তারকার জন্ম হল। একইসঙ্গে চলতি বিশ্বকাপে সেরা ম্যাচ পর্তুগালের।
প্রি-কোয়ার্টার ফাইনাল ম্যাচে ৭৩ মিনিটে মাঠে নেমেছিলেন রোনাল্ডো। তাও আবার হ্যাটট্রিক করা গনসালো রামোসের পরিবর্তে। কোচ সান্তোস অবশ্য বলে দিলেন, ‘এটা পরিকল্পনারই অঙ্গ। অন্য কিছু এখানে খুঁজতে যাবেন না।’ এটা ঘটনা দক্ষিণ কোরিয়া ম্যাচে মাঠে অভব্য আচরণের জন্যই কি রোনাল্ডোকে তুলে নেওয়া হয়েছিল? যদিও সান্তোস বলে দিলেন, ‘বিষয়টা মিটে গেছে। ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো বিশ্বের অন্যতম সেরা পেশাদার ফুটবলার। একজন অধিনায়ক। রোনাল্ডোর যখন ১৯ বছর বয়স। তখন থেকে চিনি। ওর সঙ্গে আমার দারুণ সম্পর্ক। স্পোর্টিংয়েও রোনাল্ডোকে কোচিং করিয়েছি। জাতীয় দলেও।’ এরপরই সান্তোসের সংযোজন, ‘কোচ ও প্লেয়ারের সম্পর্কে আমরা কেউ কখনও দ্বিধায় ভুগিনি। এই দলের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ প্লেয়ার রোনাল্ডো।’
আরও পড়ুন : রাজা চার্লসকে ডিম ছুড়ে গ্রেপ্তার ১