উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্কঃ বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে সুইজারল্যান্ডের বিরুদ্ধে শুরুর একাদশে নামানো হয়নি রোনাল্ডোকে (Cristiano Ronaldo) । ২০০৪ ইউরোতে শেষবার এই অভিজ্ঞতা হয়েছিল তাঁর। পর্তুগাল অধিনায়ক রোনাল্ডোকে বসিয়ে রাখার ঘটনায় ক্ষুব্ধ সি আর সেভেনের বোন এলমা আভেইরো। তিনি মনে করেন তাঁর ভাইয়ের মতো মহাতারকাকে বসিয়ে রেখে কোচ সান্তোস ‘অবিচার’ করেছেন।
পর্তুগিজ ফুটবলের সবচেয়ে উজ্জ্বল নক্ষত্র হলেও ছন্দহীনতার কারণেই দলে ব্রাত্য হয়ে পড়েছেন রোনাল্ডো। রোনালদোর পারফরম্যান্সের গ্রাফ ক্রমেই নিম্নমুখী। বয়সটা যে তাঁর ক্যারিয়ারে থাবা বসাতে শুরু করেছে, সেটা আর বুঝতে বাকি নেই। মাঠে তাঁকে খুব একটা সক্রিয় মনে হয় না। আগের মতো গতি নেই, নাগালের বল ছাড়া তেমন নড়াচড়াও নেই। এখনও পর্যন্ত এবছরের বিশ্বকাপ তাঁর গোল সংখ্যা মাত্র ১।
খোদ পর্তুগালের মানুষও রোনাল্ডোর ওপর থেকে আস্থা হারিয়ে ফেলেছেন। এক সমীক্ষায় দেখা গেছে, দেশটির ৭০ শতাংশ মানুষ চান না রোনাল্ডো শুরুর একাদশে থাক। বারবার সুযোগ দিয়েও প্রত্যাশা মেটাতে না পারায় পর্তুগাল কোচ ফার্নান্দো সান্তোসও অবশেষ কঠিনতম সিদ্ধান্তটাই নিয়েছেন। কাল রোনাল্ডোকে বসিয়ে খেলিয়েছেন তরুণ ফরোয়ার্ড গনসালো রামোসকে। ম্যাচের ৭৩ মিনিটে অবশ্য মাঠে নামানো হয়েছিল রোনাল্ডোকে।
তবে রোনালদোর বোন এলমা আভেইরো মনে করেন, তাঁর ভাইয়ের মতো মহাতারকাকে বসিয়ে রেখে কোচ সান্তোস ‘অবিচার’ করেছেন। ইনস্টাগ্রামে আভেইরো লিখেছেন, ‘যে মানুষটা পর্তুগিজ ফুটবলকে বছরের পর বছর এত কিছু দিয়ে গেল, তাকে এভাবে অপদস্থ হতে দেখে লজ্জিত।’ সুইজারল্যান্ডকে ৬-১ ব্যবধানে গুঁড়িয়ে পর্তুগাল কোয়ার্টার ফাইনালে ওঠায় দলকে অভিনন্দনও জানিয়েছেন আভেইরো। এরপর আবার লিখেছেন, ‘হ্যাঁ, রোনাল্ডো অমর নয়। রোনাল্ডো সারা জীবন খেলবে না। সে বুড়িয়ে গেছে। দুর্ভাগ্যবশত এই মুহূর্তে গোল পাচ্ছে না। পর্তুগালের এখন আর তাকে দরকার নেই। সান্তোস ওর সব অবদান ভুলে গেছে। ওর প্রতি অবিচার করা হয়েছে। কাউকে বাদ দেওয়ার আগে যেন সে খেলোয়াড়ের ইতিহাস জেনে নেয়। রোনাল্ডো এখনও বিশ্বের অন্যতম সেরা খেলোয়াড়।’
আরও পড়ুন : বিশ্বকাপ থেকে বিদায় নিল স্পেন, টাই-ব্রেকারে হারিয়ে শেষ আটে মরক্কো