দিনহাটা: লকডাউন পরিস্থিতিতে মহকুমা প্রশাসনের উদ্যোগে বিনামূল্যে বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে স্যানিটারি ন্যাপকিন পৌঁছে দেবে আশাকর্মী ও পুর এলাকার স্বাস্থ্যকর্মীরা। গত মাসেই মহকুমা প্রশাসন ‘বান্ধবী’ নামের একটি প্রকল্প ঘোষনা করে। এই প্রকল্পে স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলারা নিজেরাই স্যানিটারী ন্যাপকিন বানাবেন এবং তা সুলভ মূল্যে মহকুমার বিভিন্ন স্কুল, কলেজ ও স্থানীয় মহিলাদের মধ্যে সরবরাহ করা হবে। এই প্রকল্পের প্রাথমিক সূচনা হয় গত ৮ মার্চ বিশ্ব নারী দিবসে স্যানিটারী ন্যাপকিন সংগ্রহ অভিযানের মধ্য দিয়ে। সকলের সহযোগিতায় সে সময় হাজার হাজার প্যাড সংগ্রহ করা হয়।
করোনার জেরে আপাতত সেই প্রকল্প স্তগিত। এই অবস্থায় মহকুমা শাসক শেখ আনসার আহমেদ জানান, সংগ্রহিত প্যাডগুলি লকডাউন পরিস্থিতিতে বা অপ্রাপ্যতার কারণে যারা পাচ্ছেন না তাদের মধ্যে সরবরাহের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এবিষয়ে তিনি জানান লকডাউনে কোনো মহিলা বা কিশোরী যদি দোকানে প্যাড না পেয়ে থাকেন বা কেউ যদি বাড়ির বাইরে না বেরোতে পারেন তারা মহকুমা প্রশাসনের সোশাল মিডিয়ার সাইটে জানালে সংশ্লিষ্ট এলাকার স্বাস্থ্যকর্মী বা আশাকর্মীদের মাধ্যমে ‘বান্ধবী’ প্রকল্পের প্যাড বিনামূল্যে তাদের বাড়িতে পৌঁছে দেওয়া হবে।
মহকুমা শাসক জানান, পুর এলাকার পাশাপাশি গ্রামীন এলাকার মহিলারাও পাবে এই প্যাড। পাশাপাশি হোম কোয়ারান্টিনে থাকা কোনো মহিলা বা কিশোরি যদি এই পরিষেবা চান তারাও তা পেতে পারেন। মহকুমা প্রশাসনের এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছে একাধিক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সদস্যরা। আমার দিনহাটা ওয়েলফেয়ার অর্গানাইজেশনের সদস্য রনদীপ বসু জানান, মহিলারা অনেকেই একেবারে ঘরবন্দী রয়েছেন। আবার অনেকেই অর্থনৈতিক সংকটের কারণে ঋতুচক্রকালীন সময়ে প্যাড সংগ্রহ করতে পারছিলেন না। তাদের জন্য এই পরিষেবা যথেষ্ট ইতিবাচক ভূমিকা গ্রহন করবে। দিনহাটা ওয়েলফেয়ার অর্গানাইজেশনের সদস্য মৃত্যুঞ্জয় ব্যানার্জী জানান বর্তমানের সংকটময় পরিস্থিতিতে এই পরিষেবা সত্যিই প্রশংসনীয়।