পুরাতন মালদা: ‘বিজেপির বিরুদ্ধে কংগ্রেস, তৃণমূল ও আব্বাস সিদ্দিকী মহাজোট হবে। আর যা পশ্চিমবঙ্গকে পশ্চিম বাংলাদেশ বানাবে।’ শুক্রবার পুরাতন মালদার সাহাপুর ডিস্কো মোড় এলাকায় ‘চায়ে পে চর্চা’য় যোগ দিয়ে এমনটাই মন্তব্য করলেন রাজ্য বিজেপির সাধারণ সম্পাদক সায়ন্তন বসু। এরপরই বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নড্ডার সভাস্থল পরিদর্শন করেন সায়ন্তনবাবু।
‘চায়ে পে চর্চা’য় যোগ দিয়ে তৃণমূলকে তোপ দেগে সায়ন্তনবাবু বলেন, ‘জোড়া ফুল শুকোতে শুকোতে এমন অবস্থা হবে তা পড়ে গেলে কোনও লোক থাকবে না।’ এরপরই তিনি মহাজোট প্রসঙ্গে তীব্র কটাক্ষ করেন। টেট প্রসঙ্গে সায়ন্তনবাবু বক্তব্য, ‘মুখ্যমন্ত্রী প্রকাশ্যেই বলেছিলেন, টেট পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ করতে। যদি ফলাফল প্রকাশিত হয় তাহলে তৃণমূলের একটি নেতাও বাইরে থাকবে না ঘরে ঢুকে যাবে। একটি পরীক্ষাও স্বচ্ছ হচ্ছে না।’
সায়ন্তনবাবু বলেন, ‘আগে লোকে বলত, হাজি মস্তান সবচেয়ে বড় মস্তান এখন সবাই ভাইপোকে বলছে বড় মস্তান। চোরাকারবারী এত বড় যে এরা বালি, কয়লা সমস্ত কিছুতে হাত পাকিয়েছে।’ অনুপ্রবেশকারী প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘বিএসএফ এখন সক্রিয় রয়েছে। পার্থ চট্টোপাধ্যায় নির্বাচন কমিশনে গিয়ে বিএসএফের নামে ভিত্তিহীন অভিযোগ করে এসেছেন। গত দু’মাস ধরে বিএসএফ অনুপ্রবেশকারী বাংলাদেশি মুসলিমদের আটকাচ্ছে এই কারণেই তাদের রাগ। শুধু আটকানোই নয়, বাংলাদেশি রোহিঙ্গাদের পুশ ব্যাক করতে হবে। ভোটার লিস্টে ভুয়ো অনেক নাম উঠেছে।’ ভোট নিয়ে তাঁর মন্তব্য, ‘শুধু পশ্চিমবঙ্গ নয়, এখানে আলাদা ভ্যাকসিন স্ট্র্যাটেজি দাওয়াই দরকার আছে। এই নিয়ে আমরা নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে আলোচনা করছি। এখানে সুষ্ঠু ভোট হবে। দিদির পুলিশরা থানায় বসে প্যারেড করবে। দাদার পুলিশ তৃণমূলের গুণ্ডাদের লাঠি পেটা করবে।’