উত্তরবঙ্গ ব্যুরো : নিজের কন্যাশ্রীর প্রাপ্য টাকা প্রধানমন্ত্রী ত্রাণ তহবিলে দিয়ে দেশের অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়াল স্কুল ছাত্রী সীমা সরকার। চাকুলিয়া সার্কেলের এসবিটুলি উচ্চ বিদ্যালয়ে দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রী সীমা। স্কুলের শিক্ষক মেঘলাল মণ্ডল বলেন, সীমা পড়াশোনায় যেমন ভালো তেমনি নাটক, নাচ, গানও খুব ভালো করে। কন্যাশ্রী ও ছাত্র-যুব উৎসবে প্রতিবছর ব্লক পর্যায়ে প্রথম স্থান পেয়ে থাকে। দেশের অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে সে ৫০১ টাকা প্রধানমন্ত্রী ত্রাণ তহবিলে দান করেছে। এই টাকা কারও কাছে হয়ত সামান্য। কিন্তু, এই ছাত্রীর দান কোনও অংশে কম নয়।
সীমা সরকার বলে, লকডাউনের পর থেকে দেশের বহু গরিব মানুষ কাজ হারিয়ে অনাহারে রয়েছে। আমাদের তো কোনও রকমভাবে দিন চলছে। দেশের অসহায় মানুষগুলির অবস্থার দিকে তাকিয়ে শেষ পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী ত্রাণ তহবিলে দান করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
করোনা মোকাবিলায় ত্রাণ বিলির পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে আর্থিক সাহায্যও অব্যাহত রয়েছে। মঙ্গলবার দক্ষিণ রামপুর অরবিন্দ ক্লাবের পক্ষ থেকে মুখ্যমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে দশ হাজার টাকা জমা দেওয়া হয়। ক্লাবের সম্পাদক রবিনকুমার দাস বলেন, অর্থ সাহায্য ছাড়া করোনা মোকাবিলা করা সম্ভব নয়। তাই মুখ্যমন্ত্রীর আবেদনে সাড়া দিয়ে ক্লাবের পক্ষ থেকে সামান্য অর্থ রাজ্যের ত্রাণ তহবিলে দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে দিনহাটা পুরসভার ত্রাণ তহবিলে নিজের পেনশনের টাকা দান করলেন প্রফুল্লচন্দ্র চন্দ নামে এক ব্যক্তি। দিনহাটা টেলিফোন এক্সচেঞ্জ রোডের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা প্রফুল্লবাবু বর্তমানে সরকারি চাকরি থেকে অবসর নিয়েছেন।
এই মঙ্গলবার তিনি পুরসভায় গিয়ে তাঁর একমাসের পেনশনের ২০ হাজার টাকা পুরসভার ত্রাণ তহবিলে জমা দেন। এদিন তিনি বলেন, আমার এই উদ্যোগ দেখে অনেকেই এগিয়ে আসবেন। এদিকে, দেশের প্রধানমন্ত্রী এবং রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে অর্থসাহায্য করল উত্তর দিনাজপুর জেলার করণদিঘির হুদা এডুকেশন্যাল অ্যান্ড ওয়েফেয়ার ট্রাস্ট। মঙ্গলবার হুদা ট্রাস্ট মুখ্যমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে ও প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে ৩০ হাজার টাকা করে মোট ৬০ হাজার টাকা দিয়েছে।
হুদা ট্রাস্টের চেয়ারম্যান মতিউর রহমান মাদানি এলাকাবাসীর কাছে আবেদন জানিয়েছেন, এই অতি মহামারিতে দুর্গত মানুষের সহয়োগিতায় সকলে এগিয়ে আসুক। অন্যদিকে, কলেজ টিচার্স পেনশনার্স অ্যাসোসিয়েন জলপাইগুড়ি জেলা কমিটির তরফে মুখ্যমন্ত্রী ত্রাণ তহবিলে ২০ হাজার টাকা দান করা হয়েছে। সংগঠনের পক্ষে অধ্যাপক জিতেন দাস এই সংবাদ দিয়েছেন। এছাড়া অধ্যাপিকা ছায়া ভৌমিক এবং জিতেন বিশ্বাস ব্যক্তিগতভাবে ১০ হাজার টাকা করে মুখ্যমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে দান করেছেন। এদিন মুখ্যমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে এক লক্ষ টাকা অনুদান দিয়েছেন শীতলকুচি ব্লকের লালবাজার গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার ব্যবসায়ী ফইজুল হক। এদিন শীতলকুচির বিডিওর হাতে চেক তুলে দেন ওই ব্যবসায়ী।